পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: আইএসএফ (ISF) বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির মোবাইল ফোনে মিলেছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মিলেছে একাধিক চ্যাট। কোটি কোটি টাকা জমাও পড়েছে অ্যাকাউন্টে। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে কলকাতা পুলিশ। সূত্রের খবর, পুলিশের দাবি, ওই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বই নৌশাদকে (Nawsad Siddique) পরামর্শ দিতেন কীভাবে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাতে হবে। তার জেরে কোন কোন পুলিশ কর্তাকে সরানো হবে, তা নিয়েও চলত আলোচনা। ইতিমধ্যেই ভাঙড়ের আইএসএফ (ISF) বিধায়কের দুটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। আদালতের অনুমতি পাওয়ায় ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল (Vineet Goyal)। 


গত ৩১ জানুয়ারি নৌশাদ সিদ্দিকির (Nawsad Siddique) মুক্তির দাবিতে আইএসএফের (ISF) ডাকে অনুষ্ঠিত হল সর্বদলীয় কনভেনশন। তাতে হাজির ছিলেন সিপিএম (CPM), কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও গণ সংগঠনের প্রতিনিধিরা । আইএসফের দাবি, নৌশাদ সিদ্দিকি (Nawsad Siddique) সহ ১৮ জনের নিঃশর্ত মুক্তি চায় এবং আরাবুল সহ ভাঙড়ে হামলাকারী তৃণমূল নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করতে হবে । গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে একসঙ্গে আছি বলে দাবি করেছেন সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ি (Sameek Lahiri) । পাল্টা তৃণমূল (TMC) সাংসদ শান্তনু সেনের বক্তব্য, পুলিশ পুলিশের কাজ করেছে । 


যদিও এদিনের কনভেনশনে ডাক পায়নি বিজেপি (BJP)। কেন কাকে ডাকা হয়েছে বা কাকে ডাকা হয়নি এনিয়ে উত্তর দিতে পারবে আইএসএফের রাজনৈতিক জন্মদাতা সিপিএম (CPM), মন্তব্য রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যর (Sameek Bhattacharya) । 


এর আগেও নৌশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারির প্রতিবাদে বৈঠকের ডাক দিয়েছিল আইএসএফ (ISF) । বৈঠকে সিপিএম ও কংগ্রেসকে আমন্ত্রণ করা হলেও, ডাকা হয়নি তৃণমূল-বিজেপিকে। এদিকে, গ্রেফতারিকাণ্ডে সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি তোলেন পিরজাদারা। এরই মধ্যে, দেগঙ্গায়, আইএসএফের বিরুদ্ধে তৃণমূলের পতাকা ছেঁড়ার অভিযোগ ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি  হয়।


বেছে বেছে ISF কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। তৃণমূল ও পুলিশের যোগসাজশে পঞ্চায়েত ভোটের আগে মনোবল ভাঙার চেষ্টা হচ্ছে। সংঘর্ষের ঘটনায় এবার বিস্ফোরক অভিযোগ করল আইএসএফ।অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল (TMC)।


আরও পড়ুন: TMC: 'দিদির সুরক্ষাকবচ' কর্মসূচিতে গিয়ে গ্রামবাসীদের প্রশ্নের মুখে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ