কলকাতা: মিষ্টি কীভাবে বানাবেন, এবার সেই টিপস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির মিলন উৎসবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিষ্টি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে একাধিক টিপস দেন।


মুখ্যমন্ত্রীর টিপস: বাংলার মিষ্টির সুনাম জগতজোড়া। ইতিমধ্যেই জয়নগরের মোয়া, বর্ধমানের সীতাভোগ ও মিহিদানা এবং রসগোল্লা জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে। মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন না এমন বাঙালি খুব কম। কীভাবে মিষ্টিপ্রিয়দের কাছে পছন্দের মিষ্টি আরও সুস্বাদু করে তোলা যায় কার্যত সে উপায়ই বাতলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। টিপস দিলেন এরাজ্যের মিষ্টি ব্যবসায়ীদের। 


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ব্যবসায় ছোট্ট ছোট্ট টিপস আছে যেগুলো করলে অনেক কাজে লাগে। আপনি মিষ্টিটা করুন। অত বেশি রস দেওয়ার দরকার কী! রসগোল্লায় তো রস দিতেই হবে। হালকা করুন।'' পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমি নিজে বীরভূমের মেয়ে। রামপুরহাটের মিষ্টিটা যেমন ভরাট মিষ্টি। আবার অনেক রসগোল্লা আছে দেখবেন হালকা, স্পঞ্জের মতো। কিন্তু ভরাট মিষ্টিটা খেতে ভাল লাগে। ছানাপোড়া অনেক রকম হয়। একটা সিম্পল ছানাপোড়া সন্দেশ হয়। অল্প ছানাটাকে ভেজে অল্প চিনি দিতে হয়। লোকের কাছে খুব প্রিয় সেই ছানাপোড়াটা। ওড়িশায় এই ছানাপোড়া মিষ্টিটা খুব বিখ্যাত।''


পাশাপাশি এদিন ফেসবুকে পোস্ট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, "বঙ্গের মিষ্টান্ন জগৎ বহু বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ। ভারত তথা গোটা পৃথিবীতে আমার বাংলা, মিষ্টতম অঞ্চল। এই বাংলার মিষ্টি আজ জগৎখ্যাত। ইতিমধ্যেই জয়নগরের মোয়া, বর্ধমানের সীতাভোগ ও মিহিদানা এবং রসগোল্লা জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে। রাজ্য সরকার প্রায় সাড়ে এগারো কোটি টাকা দিয়ে বর্ধমান ও নিউটাউনে ‘মিষ্টি হাব’ তৈরি করেছে। নদিয়ার কৃষ্ণনগরে 'সরতীর্থ' তৈরি করেছে। বসিরহাটে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা দিয়ে মিষ্টি হাব তৈরি হচ্ছে। এছাড়াও, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং বস্ত্র দফতরের সহায়তায় কলকাতায় মিষ্টি প্রস্তুতকারকদের নিয়ে মৌলালি ট্রাম ডিপোর কাছে সিটিসি বিল্ডিংয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় তলে শুরু হতে চলেছে ‘মিষ্টি উদ্যোগ’ নামক ক্লাস্টার।‌ বাংলার মিষ্টির জন্য আমি নিউটাউনে ২০ কাটা জমি বিনামূল্যে দেব, যেখানে গড়ে উঠবে রাজ্যের সমস্ত জেলার বিখ্যাত মিষ্টি নিয়ে সবথেকে বড় মিষ্টি হাব। সেই বিল্ডিংয়ের নাম হবে ‘মিষ্টান্ন'।''


 



আরও পড়ুন: Behala Accident: ফের রাতের শহরে বেপরোয়া গাড়ি, আহত চালক সহ আরও এক