কলকাতা : কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Smuggling) দ্বিতীয়বারের নোটিসে সিবিআইয়ের (CBI) মুখোমুখি ক্যানিং পূর্বের (Canning East) তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) সওকত মোল্লা। সিবিআই সূত্রে খবর, কয়লাকাণ্ডে কয়েকজন কয়লা মাফিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এদের মধ্যে একজন দাবি করেন, তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লার অফিসে প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছিল, কারা উপস্থিত ছিলেন, তা জানতেই ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ককে তলব করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি। 


এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় নিজাম প্যালেসে ডাকা হলেও সওকত পৌঁছন বেলা সোয়া ১১টা নাগাদ। এর আগে ২৭ মে, প্রথমবারের নোটিসে সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দেননি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লা। পূর্ব নির্ধারিত প্রশাসনিক কাজের কথা জানিয়ে ১৫ দিন সময় চান তিনি। সিবিআইয়ের দ্বিতীয়বারের নোটিসে, ২০ দিনের মাথায় আজ নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিলেন তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লা।


আরও পড়ুন ; আজ সিবিআই দফতরে হাজিরা দিচ্ছেন না সওকত মোল্লা


সওকতের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ ?


আসানসোলের খনি (Asansol Mine) থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করা কয়লা উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Paragana), দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হত বলে অভিযোগ। অভিযোগ, ক্যানিংয়ে ইট ভাটায় প্রতি মাসে প্রচুর কয়লা যেত। তা থেকে মোটা অঙ্কের টাকা তোলাবাজি করা হত। একাধিক ব্যক্তির বয়ানে সওকত মোল্লার নাম উঠে আসে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।


যদিও সওকতের দাবি , কয়লা পাচারের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। জীবনতলায় ৪-৫টি ইটভাটা আছে, সেখানে কোথা থেকে কয়লা আসে, কারা কয়লা দেয়, তা তিনি জানেন না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে তাঁর নাম এই মামলায় যুক্ত করা হয়েছে। 


এর আগে এই মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)।