আসানসোল ও কলকাতা: সাতসকালে মন্ত্রীর বাড়িতে হানা সিবিআইয়ের (CBI)। কয়লা পাচার মামলায় এই হানা দেয় সিবিআই। দিনভর তল্লাশি চালানো হয় রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের (Moloy Ghatak) একাধিক বাড়িতে। যার পরে সাংবাদিক বৈঠক করে আক্রমণ শানান আইন ও শ্রমমন্ত্রী মলয় বৈঠক।


কী অভিযোগ মলয় ঘটকের: 
তিনি এদিন বলেন, 'আমাকে কালিমালিপ্ত করতেই সিবিআই হানা'। তিনি আরও বলেন, 'আসানসোলের বাড়ি আমার পৈতৃক বাড়ি। আমার ঠাকুর্দার তৈরি বাড়ি। সেখানে সবার ভাগ রয়েছে। ছেলের বাড়ি ৮৮ লক্ষ টাকা লোন নিয়ে কেনা হয়েছে।' বিজেপির দিকেও আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, 'বিজেপি ছাড়া কেউ বলতে পারবে না আমি কয়লার সঙ্গে যুক্ত। আসানসোলের মানুষ যদি বলেন আমি কয়লার সঙ্গে যুক্ত, রাজনীতি ছেড়ে দেব।' এদিন তল্লাশির সময় তাঁর কাছে ১৪ হাজার টাকা ছিল। সেটা নগণ্য বলে সিজার লিস্টে রাখেনি সিবিআই। দাবি করেছেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। পাশাপাশি তাঁর দাবি, 'যে কোনও তদন্তে আমি সহযোগিতা করতে রাজি।'


এদিন রাজভবনের পাশে গভর্নমেন্ট প্লেসে মন্ত্রী আবাসনে গিয়ে মলয় ঘটককে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি, মন্ত্রীর একাধিক ঠিকানায় ঘুরেছেন সিবিআই-এর গোয়েন্দারা। চালানো হয়েছে ম্যারাথন তল্লাশি। সিবিআইয়ের একটি সূত্রের দাবি, লালার অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি পাওয়া যায়। সেখানেই মন্ত্রী বলে কারও নাম উল্লেখ ছিল। কিছু ভাউচার ও ডায়েরিতেও মন্ত্রী বলে লেখা ছিল বলে দাবি। এর আগে মলয় ঘটককে চানা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)।


মন্ত্রীদের আবাসনে সিবিআই:
রাজভবনের পাশে মন্ত্রীদের আবাসন রয়েছে। বুধবার সকাল সওয়া ৮টা নাগাদ সেখানে পৌঁছয় সিবিআই-এর দল। একাধিক গাড়িতে চেপে পৌঁছন গোয়েন্দারা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। দীর্ঘক্ষণ সেখানে ছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। তখন ভিতরে ছিলেন মন্ত্রী মলয় ঘটকও। মন্ত্রীদের আবাসনের বাইরে আঁটোসাটো নিরাপত্তা ছিল। কাউকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। মন্ত্রী, তাঁর নিরাপত্তারক্ষী এবং সিবিআই আধিকারিকরা ভিতরে ছিলেন। বাইরে ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। 


অন্যত্রও তল্লাশি:
মন্ত্রীদের আবাসন ছাড়া, আসানসোল এবং কলকাতায় একাধিক বাড়িতে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। 

অন্যদিকে বুধবারই চিটফান্ড মামলায় বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারীকে দ্বিতীয়বার তলব করা সত্ত্বেও হাজিরা এড়ালেন তিনি। আজ সকাল ১০টায় তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে আসতে বলা হয়। গতকাল তাঁকে তলব করা হলেও আইনজীবী মারফত বিধায়ক ১৫ দিন সময় চান। সিবিআই সূত্রের খবর, এরপর রাতেই তাঁকে দ্বিতীয় বার নোটিস পাঠিয়ে তলব করা হয়। তবে আজ সেই দ্বিতীয় নোটিসের প্রেক্ষিতে আইনজীবী মারফত সময় চেয়ে নেন তৃণমূল বিধায়ক।  

আরও পড়ুন: বিধানসভার বিএ কমিটির বৈঠক, আমন্ত্রিত নিয়োগ-দুর্নীতিতে জেলবন্দি পার্থ