কলকাতা: রাহুল গাঁধীর সাংসদ পদ খারিজের ঘটনায় শুক্রবারই দেশজুড়ে প্রতিবাদে নেমেছিল কংগ্রেস। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই ইস্যুতে লাগাতার আন্দোলন চালাবে হাত শিবির। শনিবারও সেই ঘটনায় উত্তপ্ত থাকল কলকাতা থেকে জেলার নানা কোণ। রাহুল গাঁধীর সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে পথে নামল কংগ্রেস। রেল অবরোধ থেকে রাস্তা অবরোধ দেখা গেল। বিভিন্ন জায়গায় চলল বিক্ষোভ। হুগলির শ্রীরামপুর-সহ কয়েকটি জায়গায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেস কর্মীরা। কংগ্রেসের এই কর্মসূচি নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ:
রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার প্রেক্ষাপটে দেশজুড়ে বিজেপির সঙ্গে চরম সংঘাতের পথে হাঁটল কংগ্রেস। বিভিন্ন রাজ্যে যেমন বিক্ষোভ-অবরোধ কর্মসূচি পালিত হল। তেমনই বাংলার জেলায় জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছে কংগ্রেস। রায়গঞ্জ-শান্তিপুরে রেল রোকো হয়েছে, পুরুলিয়া-মেদিনীপুরে পথ অবরোধ হয়েছে, শিলিগুড়িতে প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে,বর্ধমান-আসানসোলে বিক্ষোভ দেখিয়েছে কংগ্রেস। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। হুগলির শ্রীরামপুরে ধস্তাধস্তি হয়েছে। রাজভবনের সামনে কংগ্রেসের কর্মসূচি নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
শনিবার সকালে বউবাজারে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন INTUC-র কর্মী-সমর্থকরা। রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে বিকেলে ধর্মতলা এবং রাজভবনের সামনেও বিক্ষোভ সংগঠিত করেন কংগ্রেস কর্মীরা। যেভাবে রাহুলকে সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে, এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র কৌস্তভ বাগচি। দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের মহিলা সদস্যরা এদিন নেতাজি ভবন মেট্রো থেকে বেরিয়েই জগুবাবু বাজারের কাছে বিক্ষোভ দেখাতে যান। তখনই তাঁদের আটক করে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।
জেলায় জেলায়:
কলকাতার পাশাপাশি জেলায় জেলায় পথে নেমেছিলেন কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা। নদিয়ার শান্তিপুর ও উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে রেল অবরোধ করা হয়। শিলিগুড়ির হাসমি চক, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে মিছিল করেন কংগ্রেস নেতা ও কর্মীরা। পথ অবরোধ হয় উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরে। বর্ধমানের নবাবহাট, দুর্গাপুরের কাদা মোড়, আসানসোলের বিএনআর মোড়ে পথ অবরোধ, বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন কংগ্রেস কর্মীরা। মেদিনীপুর, খড়গপুর ও পুরুলিয়ায় যুব কংগ্রেস ও ছাত্র পরিষদের কর্মীরা পথে নামেন। মেদিনীপুর পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর মহম্মদ সইফুল বলেন, 'আমাদের নেতা রাহুল গাঁধী, রাহুল সাভারকর নয়। তাই আমরা রাস্তায় থাকব, আন্দোলন করব, মানুষজন বিবেচনা করবেন।'
রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে, শুক্রবার বিজেপির সমালোচনা করেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় এবং অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। কড়া সমালোচনা করেছিলেন একাধিক বিরোধী দলের নেতা।
আরও পড়ুন: ক্যুরিয়ার সংস্থার মাধ্যমে মাদক পাচার রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিল নারকোটিক্স কন্টোল ব্যুরো