কলকাতা: শ্মশান টেন্ডার দুর্নীতিতে (Contai Tender Scam case) নিজাম প্যালেসে হাজিরা কাঁথি পুরসভার ৭ কর্মীর। সিবিআই-এর (CBI) তলবে হাজিরা দিলেন কাঁথি পুরসভার ৭ কর্মী। এরমধ্যে আছেন পুরসভার চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারীও। প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। এই ঘটনায় প্রথমে সিআইডি দায়িত্ব নিলেও পরে আদালতের নির্দেশে তদন্তের দায়িত্ব পায় সিবিআই (CBI)।

  


শ্মশানের সংস্কারের টেন্ডার নিয়ে দুর্নীতি


যে বিষয়কে ঘিরে শোরগোল, সেটি কাঁথি পুরসভার শ্মশানের সংস্কারের টেন্ডার নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ। কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। রামচন্দ্র সৌমেন্দু এবং অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলে জানা যায়। ভুয়ো শংসাপত্রের মালিক রামচন্দ্রকে বরাত দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। এমনকি শ্মশানে স্টল তৈরিতেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ।


একটি টেন্ডার পেয়েছিলেন রামচন্দ্র


প্রসঙ্গত, ২০১৯ এবং ২০২০ সালে কাঁথি পুরসভার অন্তর্গত একটি টেন্ডার পেয়েছিলেন রামচন্দ্র। কিন্তু টেন্ডার পেয়েও তিনি কাজ শেষ করেননি বলে অভিযোগ। তা নিয়ে রামচন্দ্রের বিরুদ্ধে দু'টি এফআইআর দায়ের হয়েছিল। এর পর, গত ২৮ ডিসেম্বর আরও একটি এফআইআর দায়ের হয়েছিল। তাতে দেখা যায়, রামচন্দ্রের স্ত্রী-ই অভিযোগ করেছিলেন এবং তার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছিল রামচন্দ্রকে।


তৃতীয় এফআইআর নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি


এই তৃতীয় এফআইআর নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি মান্থা। তিনি বলেছিলেন, 'স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার স্বামী' একই অভিযোগের ভিত্তিতে, একই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তিন-তিনটি এফআইআর দায়ের হয় কী ভাবে ? তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। গোটা ঘটনায় সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তৃতীয় এফআইআর-টি রামচন্দ্রের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের করা হলেও, আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় রামচন্দ্রের স্ত্রী জানিয়েছিলেন, 'কিছু প্রভাবশালী তাঁকে তুলে নিয়ে দিয়ে, জোর করে অভিযোগপত্র লিখিয়েছিলেন এবং তাতে সই করিয়েছিলেন।'


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ? 


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


ওই অভিযোগপত্রে যা অভিযোগ রয়েছে, তাঁর অভিযোগ সেটি ছিল না। তার ভিত্তিতে গ্রেফতারও করা হয়নি রামচন্দ্রকে। রামচন্দ্রের স্ত্রী সেই হলফনামা দেখে এ দিন পুলিশের ভূমিকায় বিস্ময়ও প্রকাশ করেন বিচারপতি মান্থা। এর পরই বিষয়টি সিবিআই-এর হাতে তুলে দেন তিনি। একই সঙ্গে সিআরপিএফ-কে মামলায় যুক্ত করে রামচন্দ্রের স্ত্রীকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেন।