মুর্শিদাবাদ: মনোনয়ন তুলতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে রণক্ষেত্র রানিনগর। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগরে মনোনয়ন তুলতে সিপিএমকে (CPM) বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে।

  


মনোনয়ন পর্বের প্রথম দিনেই উত্তেজনা জেলায় জেলায়


মূলত গতকালের ঘোষণার পর আজ থেকেই শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন প্রক্রিয়া। মনোনয়ন পর্বের প্রথম দিনেই নন্দীগ্রামের হরিপুরে মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। মিছিল করে মনোনয়ন দিতে আসা বিজেপি প্রার্থীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদের ভরতপুরেও ছড়ায় এদিন উত্তেজনা। মনোনয়ন পর্বের প্রথম দিনেই শাসক শিবিরে অশান্তি। বিধায়ক অনুগামীদের সঙ্গে ব্লক সভাপতি অনুগামীদের সংঘর্ষের অভিযোগ।


পুলিশ  আটকালে শুরু হয় বচসা


পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫টি আসনের মধ্য়ে ১৪টি ও তিনটি পঞ্চায়েত সমিতির আসনে বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে যান। আগে থেকেই বিডিও অফিসের সামনে ব্য়ারিকেড করেছিল পুলিশ। টেঙগুয়া থেকে দলবল নিয়ে মিছিল করে যখন বিজেপি প্রার্থীরা বিডিও অফিসের সামনে পৌঁছয়, পুলিশ তাঁদের আটকালে শুরু হয় বচসা।


জেলার রাজনীতিতে পরস্পরের বিরোধী


মনোনয়ন জমার আগে শুক্রবার সর্বদলীয় সভার আয়োজন করা হয়, মুর্শিদাবাদের ভরতপুর ২ নম্বর ব্লক অফিসের। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি, নিজেদের অনুগামীদের নিয়ে উপস্থিত ছিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ও ভরতপুর ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান। জেলার রাজনীতিতে যাঁরা পরস্পরের বিরোধী বলেই পরিচিত।


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ? 


অনুগামীদের মধ্য়ে সংঘর্ষ


বৈঠক শেষে আচমকা তাঁদের অনুগামীদের মধ্য়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। বেধড়ক মারধরে আহত হন দু'পক্ষের ১৫ জন। বাঁকুড়ার কোতুলপুরে দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে মনোনয়নের জন্য বিডিও অফিসে যান স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক। তাঁর অভিযোগ, বেরোনোর সময় তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। দেয় চোর স্লোগান।


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


'নমিনেশনে কেউ গন্ডোগোল করলে হাসপাতালের সিট খালি করে রাখুন'


অপরদিকে এদিন মনোনয়নের সময় গন্ডোগোল করলে, কী পরিণতি হবে, তা জানিয়ে হুঁশিয়ারি দেন দিলীপ ঘোষ।এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, 'আগে এসএসসির চেয়ারম্যান বলেছেন ৩৮ হাজার লোকের কাছে থেকে টাকা নিয়েছে। ২০ হাজার লোক টাকা দিয়ে চাকরি পায়নি। পঞ্চায়েত ভোট হবে, যখন নেতারা প্রচারে আসবে, তখন নেতাদের কলার চেপে ধরুন। যারা টাকা নিয়ে চাকরি দেয়নি, ঘর দেয়নি, তাঁদের ধরুন, আর আম গাছে, কাঁঠাল গাছে বেঁধে রাখুন। বাকিটা আমরা দেখে নেব। দিলীপ ঘোষের হুঙ্কার। পঞ্চায়েত ভোটের নোমিনেশন করতে গেলে কেউ যদি গন্ডোগোল করতে আসেন তবে হাসপাতালের সিটগুলিও খালি করে রাখুন, কে যাবে কেউ জানে না।'