এরশাদ আলম এবং ভাস্কর ঘোষ, বীরভূম এবং হাওড়া: স্কুলে শিক্ষক (School Teacher) লাগবে। একাদশ-দ্বাদশে ভূগোল ও এডুকেশন পড়ানোর জন্য মাসে সাম্মানিক হিসেবে দেওয়া হবে দেড় হাজার টাকা। বীরভূমের সাঁইথিয়ায় (Birbhum Sainthia) সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের এই বিজ্ঞপ্তি ঘিরেই বিতর্ক তুঙ্গে। প্রধান শিক্ষকের সাফাই, হাতে শিক্ষক না থাকাতেই স্বেচ্ছাসেবকের সন্ধানে নেমেছেন তাঁরা। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
আরও পড়ুন,
ভাটপাড়ার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে 'ছাপ্পা ভোটের' অভিযোগ ! কাঠগড়ায় তৃণমূল
'সিভিক পুলিশ হচ্ছে, সিভিক সেনা হচ্ছে, তো সিভিক শিক্ষক হবে না'- বর্ণময় ব্যাক্ষা সেলিমের !
বীরভূমের সাঁইথিয়ায় সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। ভূগোল ও শিক্ষা বিজ্ঞানের জন্য অস্থায়ী এবং আংশিক সময়ের শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। মাসিক সাম্মানিক দেওয়া হবে দেড় হাজার টাকা। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, 'সিভিক পুলিশ হচ্ছে। সিভিক সেনা হচ্ছে। তো সিভিক শিক্ষক হবে না।' তিনি আরও বলেন, 'একটা শিক্ষিত ভূগোলের শিক্ষক, বাংলার শিক্ষক তাকে বলা হচ্ছে দেড় হাজার টাকায়। এখন বলা হচ্ছে ভলান্টিয়ার। এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন পুলিশকে সিভিক ভলান্টিয়ার করেছেন, বলেছেন নিজের টাকা নিজে জোগাড় করো, ওরকম আস্তে আস্তে স্কুল কলেজে ব্যবস্থা করা হচ্ছে টিউশন করে টাকা তুলে নাও, যেমন সিভিক দু-চাকা চার-চাকা থেকে টাকা তুলে নেয়।' পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেছেন, 'যাদের কোনও কাজ নেই তারাই এ সমস্ত কথা বলে বেড়ায়।' তিনি আরও স্পষ্ট করে দিয়ে বলেন, 'পরিচালন সমিতির যেটুকু ফান্ড আছে, তার মধ্যে কোনও একজনকে রিক্রুট করে কয়েক দিনের জন্য একটা ব্যবস্থা করার চেষ্টা। যাতে ছেলেদের টিউশনের মতো ব্যবস্থা করে দেওয়া যায়। এতে সরকারের সিদ্ধান্ত নেই। সরকারের কোনও গাইড লাইনও নেই। এটা ওদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত যা ভাল মনে করেছে, তাই করেছে।'
'চাই স্কুল শিক্ষক,মিলবে ১৫০০ টাকা'!
সাঁইথিয়ার জিউই তরঙ্গিনী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রামপ্রসাদ সাহা বলেছেন, একাদশে নতুন যারা ভর্তি হয়েছে তাদের স্বার্থে এলাকার বা অন্যত্রও হতে পারে, স্বেচ্ছাসেবক যারা, ১৫০০ টাকা সাম্মানিকের কথা বলেছিলাম। ভূগোল ও এডুকেশনের শিক্ষক নেই আমার। একাদশের জন্য দরকার। এখনও পর্যন্ত দুজন অ্যাপ্লাই করেছেন। পার্মানেন্ট পোস্টে শিক্ষক এসে গেলেই এটা সমাপ্ত। পাশাপাশি বীরভূমের স্কুল পরিদর্শক চন্দ্রশেখর জাউলিয়া বলেছেন, 'স্কুলে হায়ার সেকেন্ডারির যে সব বিষয় আছে, এডুকেশন, ফিলজফি, পলিটিক্যাল সায়েন্স হয়তো এসবের শিক্ষক নেই। স্কুল নিজের ফান্ড থেকে সাম্মানিক দিয়ে টেম্পোরারি শিক্ষক নিতে পারে।' প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে একগুচ্ছ মামলা চলছে কলকাতা হাই কোর্টে। যা নিয়ে রাজ্যজুড়ে শোরগোল। সব মিলিয়ে তরজা তুঙ্গে।