শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: উদয়ন গুহের ( Udayan Guha) মিমিক্রি করেই ভাইরাল দিনহাটার যুবক। মূলত, বারে বারে নিজের বক্তব্যের জন্য সংবাদ শিরোনামে উঠে আসেন দিনহাটার বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। এবার তাকে নকল করেই রীতিমত ভাইরাল হয়ে উঠেছেন দিনহাটার যুবক অর্ঘ্য কমল সরকার। তিনিও একজন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। মন্ত্রীর সঙ্গে থাকতে থাকতে এবং তাঁর সভায় তার বক্তব্য শুনতে শুনতে তাঁকে নকল করার চেষ্টা করেন। মন্ত্রীর সামনে ও বেশ কয়েকবার তাঁর নকল করেছেন। মিমিক্রি করে প্রশংসাও পেয়েছেন তিনি খোদ মন্ত্রীর কাছ থেকে। এই ভাবেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন অর্ঘ্য কমল সরকার (Argha Kamal Sarkar )।
দিনহাটা কলেজের অস্থায়ী কর্মচারী হলেন অর্ঘ্য কমল সরকার। পাশাপাশি তিনি একজন তৃণমূল কর্মী। তাই দলীয় সভা হলেই বরাবরই তিনি, দিনহাটার বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ-র সঙ্গে সেই অনুষ্ঠানে পাড়ি দেন। এদিকে দিনের পর দিন উদয়ন গুহ-র সঙ্গে সঙ্গে থাকতে থাকতে, তাঁকে রীতিমত অনুকরণ করে ফেলেছেন অর্ঘ্য কমল। নিজের ভিতরের প্রতিভা প্রকাশ করেন এরপরে দলীয় সভাতেই। মূলত, বাইশের প্রেক্ষাপটে একাধিকবার বিতর্কিত বক্তব্য হোক, কিংবা অন্য কোনও কারণেও উদয়ন গুহ শিরোনামে এসেছেন। বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতিকে নিশানা করা থেকে, একাধিক ইস্যুতে বারবার ফোকাসে এসেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। আর এবার তাঁকে নকল করেই ভাইরাল দিনহাটার ওই যুবক। দলীয় সভায় তো বটেই, অর্ঘ্য কমল , উদয়ন গুহ-র নকল করে যেমন সবার প্রশংসা কুড়িয়েছেন, তেমনই মন ছুঁয়েছেন খোদ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর। সম্প্রতি মন্ত্রীর নাতির জন্মদিনেও অর্ঘ কমল গিয়ে মিমিক্রি করে মন জয় করেন সবার। উদয়ন গুহ নিজেই জানিয়েছেন, ভালো লাগে, অর্ঘ কমলের এই সৃষ্টিশীল কাজ।
আরও পড়ুন, 'সাবিত্রী মিত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেও, এফআইআর হবে না', কেন এই মন্তব্য শুভেন্দুর ?
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলায় পা দেওয়ার হুঙ্কারের পাল্টা হাঁটু ভাঙার দাওয়াই দিতে শোনা গিয়েছেল উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহকে। ‘যে আমার গলায় পা দিয়ে দাঁড়াতে চায়, তার হাঁটু ভাঙার অধিকার আছে। আমার সহকর্মীর বুকে পা তুলতে চাইলে, হাঁটু ভাঙার অধিকার আছে।' খড়গপুরে তৃণমূলকর্মীদের দিলীপের হুঙ্কারে এমনই পাল্টা হুমকি দিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। দিনাহাটায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেছিলেন, ‘যে আমার গলায় পা দিয়ে দাঁড়াতে চায়, তার হাঁটু ভাঙার অধিকার আছে। আমার সহকর্মীর বুকে পা তুলতে চাইলে, হাঁটু ভাঙার অধিকার আছে। যদি আমরা সেটা না করতে পারি, তাহলে বুঝতে হবে, বিজেপির সঙ্গে আমাদের একটা তলে তলে লাইন আছে। সেই জন্য সবাইকে শক্তি সঞ্চয় করতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।' মূলত তৃণমূলের তরফে স্লোগান ওঠে চোর চোর চোরটা, দিলীপ ঘোষ চোরটা। তখনই দিলীপ ঘোষ বলেন, তোদের বুকে পা দেব রে। তোদের বুকে পা দেব। এরপরেই ফের হাত তুলে তৃণমূল কর্মীদের ডেকে বলেন, এসো চলে এসো, কাটমানির পয়সা শেষ ? কত করে দিয়েছে ? চা খেয়ে যাও, চা খেয়ে যাও। চা আসছে, চা আসছে, এসো এসো।এটা কাটমানির পয়সায় চা নয়, কটাক্ষ করে আহ্বান জানান তিনি।