শুভেন্দু ভট্টাচার্য, শীতলকুচি: কোচবিহারের শীতলকুচিতে (Sitalkuchi News) বিজেপি-র (BJP) মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার। 'চোর ধরো জেল ভরো' স্লোগান তুলে বিজেপি-র মিছিল, হামলার অভিযোগ তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। মুহুর্মুহু বোমাবাজির অভিযোগ। যদিও বোমাবাজির (Bombs) অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল (TMC)। তবে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় যে অশান্তির দৃশ্য উঠে এশেছে, তাতে একের পর এক তীব্র শব্দ শোনা গিয়েছে।
শীতলকুচিতে বিজেপি-র মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার, বোমাবাজির অভিযোগ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার পূর্বঘোষিত কর্মসূচি নিয়ে সেখানে পথে নামে বিজেপি। মিছিল করে এগোতে থাকেন দলের নেতা-কর্মী এবং সমর্থকেরা। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযান নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে এগোন তাঁরা। সেই সময়ই উত্তেজনা ছড়ায় বলে জানা গিয়েছে।
বিজেপি-র দাবি, তাদের মিছিলে হামলা চালায় তৃণমূল। মুহুর্মুহু বোমাবাজি করা হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও, বিজেপি কর্মীদের উপরই তারা লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ বিজেপি-র। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে থানা থেকে আরও পুলিশ এসে পৌঁছয় এলাকায়। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পরিবর্তে, উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়।
বিজেপি-র দাবি, তাদের মিছিল ভণ্ডুল করতেই পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালায় তৃণমূল। তৃণমূল যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেল কী ভাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শীতকুচি বাজারের কাছে বিজেপি এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষও বাধে বলে জানা গিয়েছে।
এ নিয়ে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "শীতলকুচি, সিতাই এবং উদয়ন গুহর এলাকা দিনহাটা, এই তিন বিধানসভাকেন্দ্র বরাবরই উপদ্রুত। সেখানে কোনও দিনই আমাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমি যত বার গিয়েছি, আমার উপর হামলা হয়েছে। নির্বাচনে গুলি চলেছে। পরবর্তী কালে যে ভাবে উপ নির্বাচন হয়েছে, এখানে কোনও গণতন্ত্র নেই, আইন-কানুন নেই। দুষ্কৃতীরা, বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকেও লোক চলে আসেন। বিজেপি যখনই কিছু করতে যায়, এমন ঘটনা ঘটে। এমন কিছু এলাকাকে উপদ্রুত করে রাখা হয়েছে, বাংলা নাকি অন্য কোনও জায়গা, বোঝা যায় না। আমাদের কর্মীরা লড়াই করছেন।"
তৃণমূলকে দোষারোপ বিজেপি-র, দায় এড়াল জোড়াফুল
তবে দিলীপের দাবি নস্যাৎ করে দেন উদয়ন। তিনি বলেন, “তৃণমূল কোনও রকম গোলমালের সঙ্গে যুক্ত নয়। কারণ মালবাজারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এসেছেন। আমরা সবাই এখানে রয়েছি। নেতারা যেখানে নেই, সেখানে তৃণমূলের কর্মীরা ঝামেলা পাকনোর মতো বোকা নন। শীতলকুচিতে বিজেপি-র ১০০টি গোষ্ঠী। নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে নিজেরাই বোমাবাজি করেছে। এখন দোষ দিচ্ছে তৃণমূলকে।“