শুভেন্দু ভট্টাচার্য, তুফানগঞ্জ : কোচবিহারের (Coochbehar) তুফানগঞ্জে বিজেপি কর্মীর (BJP Worker) পরিবারকে সামাজিকভাবে একঘরে করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগে থানার দ্বারস্থ হওয়ায় 'শাস্তি', এমনই দাবি করলেন বিজেপি কর্মী। যদিও এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছে তৃণমূল।


গ্রামে কারও সঙ্গে মেলামেশা করা চলবে না। তাঁর আটাকলে গ্রামের কেউ আসবে না। ধোপা, নাপিতও বন্ধ। এমনকী, ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজনেও না। এভাবেই একটি পরিবারকে সামাজিকভাবে একঘরে করে রাখার অভিযোগ উঠল কোচবিহারের তুফানগঞ্জের মান্তানি গ্রামে। এই সময়ে দাঁড়িয়েও ‘সামাজিকভাবে একঘরে’!


আরও পড়ুন ; জেলা নেতৃত্বের নির্দেশ অমান্য করে অনাস্থা, কোচবিহারে অপসারিত পঞ্চায়েত প্রধান


মান্তানি গ্রামের বাসিন্দা দীপক দাস বিজেপি করেন। তাঁর অভিযোগ, ২০২১-এর ৬ মে, থানায় ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ জানানোর পরেই সমস্যার সূত্রপাত। অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য প্রতিনিয়ত তৃণমূল কর্মীদের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছিল। রাজি না হওয়ায়, গত রবিবার এলাকায় মিছিল করে বিজেপি কর্মীর পরিবারকে সামাজিকভাবে একঘরে করে রাখার ঘোষণা করা হয় বলে অভিযোগ।


অভিযোগকারী দীপক দাস বলেন, গত একবছর ধরে আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ না তোলায় রবিবার ওরা বাড়ির সামনে মিছিল করে। পরিষ্কার বলে, আমাদের বয়কট করার কথা। কাকার শ্রাদ্ধও করতে দেয়নি।


এনিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। কোচবিহার বিজেপির জেলা সম্পাদক উত্পল দাস বলেন, আমাদের কর্মীকে কেস তোলার জন্য হুমকি দিচ্ছিল তৃণমূল। আশ্চর্যজনকভাবে আত্মীয়ের শ্রাদ্ধও করতে দেওয়া হয়নি। চুল দাড়ি কাটতে গেলে নাপিতকেও ভয় দেখানো হয়েছে।


তুফানগঞ্জের ভানুকুমারী ২ নম্বর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি সুজিত ঘোষ বলেন, মিথ্যা অভিযোগ। এর মধ্যে রাজনীতি নেই। দুটো পরিবারের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে গন্ডগোল। তবে যদি এমন হয়ে থাকে আমরা বসে মিটিয়ে দেব।


এবার সামাজিক বয়কটের অভিযোগ তুলে ফের থানার দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি কর্মী। 


পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।