আশাবুল হোসেন, শিলিগুড়ি: তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরে প্রথম উত্তরবঙ্গ সফর। সেই সফর শুরুর প্রথম দিনই শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কের মঞ্চ থেকে বিএসএফের কর্মক্ষেত্রের পরিসর বৃদ্ধি নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী। 


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, আগে বিএসএফ-এর হাতে ছিল ১৫ কিমি। এখন বলছে ৫০ কিমি পর্যন্ত ওনারা ঘুরতে পারবেন। এর মানেটা কী? যদিও তিনি জানিয়ে দেন, এজেন্সি নয়, তাঁর অভিযোগ সেই রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে, যাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।


মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি কোনও এজেন্সির বিরুদ্ধে বলছি না। আমি বিএসএফ-কে সম্মান করি। কিন্তু যে পলিটিক্যাল লোকেরা এসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তারা দাঙ্গায় উসকানি আর বর্ডারে বর্ডারে লড়াই বাধাতে চায়। আসলে এসব বলে সব ক্ষমতার অধিকার চায়।


আরও পড়ুন: ১২-১৩ বছর বয়স থেকে রাজনীতি করছি, আমাকে জীবন্ত লাশ বলতে পারেন: মমতা


সীমান্ত সন্ত্রাস প্রতিরোধের লক্ষ্যে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ লাগোয়া ৩ রাজ্য-- বাংলা, অসম ও পঞ্জাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডের ৫০ কিলোমিটার ভিতর অবধি এলাকায় তল্লাশি, অবৈধ সামগ্রী বাজেয়াপ্ত ও গ্রেফতার করতে পারবে বিএসএফ।


অন্যদিকে, বিধানসভা ভোটের পরে উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবিতে সরব হয় বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কদের একাংশ। এই প্রেক্ষাপটেই উত্তরবঙ্গ সফরের প্রথম দিনে ঐক্যের বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, আমাদের একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, এক পরিবার হিসেবে থাকলে ভালো থাকব।


মুখ্যমন্ত্রীর এবারের উত্তরবঙ্গ সফরসূচি অনুযায়ী, আজ, সোমবার তিনি আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার আধিকারিকদের নিয়ে উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠক করবেন।


আরও পড়ুন: "টিকা নিয়েও জুমলা করছে, হ-য-ব-র-ল", কেন্দ্রকে তোপ মমতার


মঙ্গলবার কার্শিয়াং যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে পাহাড়ে সাম্প্রতিক বিপর্যয় নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন তিনি। পাশাপাশি পাহাড়ের উন্নয়ন নিয়ে উত্তরবঙ্গের বণিকসভাগুলির সঙ্গেও বৈঠক করার কথা।


বুধবার আবহাওয়া ভালো থাকলে পাহাড়ের দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। পরদিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বাগডোগরা থেকে গোয়া যাওয়ার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।


রবিবার শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে উত্তরবঙ্গের সেরা পুজো উদ্যোক্তাদের হাতে বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। 


আরও পড়ুন: করোনা টিকার সার্টিফিকেটে মোদির ছবি থাকলে ডেথ সার্টিফিকিটে কেন নয়, প্রশ্ন মমতার