শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: গভীর রাত। সুনসান পেট্রোল পাম্প। সেখানেই অস্ত্র নিয়ে হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা। কোচবিহারের ঘুঘুমারির ঘটনা। সেখানেই একটি পেট্রোল পাম্পে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দুঃসাহসিক হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। পেট্রল পাম্পের সিসিটিভি ক্যমেরার ফুটেজে ধরা পড়েছে লুঠপাট-ভাঙচুরের ছবি।    

  


কখন হামলা?
সোমবার রাত আড়াইটে নাগাদ হামলা হয়। সেই সময় কোচবিহারের ঘুঘুমারির ওই পেট্রোল পাম্পে ছিলেন ২ জন কর্মী। তাঁরা দরজা বন্ধ করে ঘুমোচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেখানেই ৪টি বাইকে চেপে হামলা চালায় ১১ জন দুষ্কৃতী। অভিযোগ, দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে, আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে, ওই দুজন কর্মীকে হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা। চলে মারধর, পাম্পে ভাঙচুরও চালানো হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত নিরাপত্তারক্ষী নজরুল মিঞা বলেন, 'দুষ্কৃতীরা দরজা ভেঙে ঢোকে, মাথায় মারে।'


কী কী লুঠ?
পেট্রোল পাম্প কর্তৃপক্ষের তরফে অভিযোগ, পেট্রোল পাম্প থেকে ৩০ হাজার টাকা লুঠ করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীদের দল। পেট্রোল পাম্পের ম্যানেজার চঞ্চল সরকার বলেন, 'আগে পুলিশ থাকত, এখন পুলিশ টহল দেয় না, নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হোক।'


পুলিশের বক্তব্য:
কোচবিহারের অ্যাডিশনাল এসপি কুমার সানি রাজ বলেন, 'এখনও কিছু জানা যায়নি, খতিয়ে দেখছি'


সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে, দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। শহরের মধ্যে দুষ্কৃতীদলের হানা। আচমকা হামলা করে মারধর, লুঠের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ওই এলাকার ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে। দুষ্কৃতীরা দীর্ঘ দিন ধরে নজর রেখে হামলা করেছিল বলে সন্দেহ অনেকের। এমন হামলা যাতে আর না হয় তার জন্য পুলিশের কাছে দ্রুত নিরাপত্তা বাড়ানোর আবেদন করছেন তাঁরা।      


আরও পড়ুন: হাতি-মৃত্যু ঠেকাতে গজমিত্র বাহিনী, আসছে অ্যাপ