কলকাতা: দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার লড়াই। শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভ সামলে দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বিক্ষোভ সামলাতে পুলিশের বিশাল বাহিনী আসে ঘটনাস্থলে। তাঁরা দেহ উদ্ধার করতে গেলে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। অবশেষে বিজেপি কর্মীদের টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে পুলিশ মৃতদেহ বের করে। প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। গাড়ি বেরনোর সময় গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে রাস্তা আটকানোর চেষ্টা করেন এক ব্যক্তি। শেষ পর্যন্ত তাঁকেও টেনে সরিয়ে দেন কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা।    


সকাল থেকে উত্তেজনা:
কাশীপুরে বিজেপি যুব মোর্চার এক নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় শুক্রবার সকালে। সেই ঘটনা ঘিরে তুলকালাম শুরু হয় এলাকায়। ঘটনায় মৃতের পরিবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে। মৃত অর্জুন চৌরাসিয়ার বয়স বছর ছাব্বিশ। পরিবারের দাবি, তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। কাশীপুর রেল কোয়ার্টারের পরিত্যক্ত একটি ঘরে ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ মেলে। ঘটনাস্থলে চলে আসেন বিজেপি নেতা, কর্মী, সমর্থকরা। পুলিশকে দেহ বের করতে বাধা দেওয়া হয়। দফায় দফায় বিক্ষোভ হয় পুলিশকে ঘিরে।এরমধ্যেই ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অতীন ঘোষ। তৃণমূল ও বিজেপি, দু’দলের কর্মীদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় স্লোগান যুদ্ধ। বচসা থেকে একসময় মারপিটেও জড়িয়ে পড়েন দু'দলের সমর্থকরা।  


আগেও দেহ বের করার চেষ্টা:
তিন-তিনবার দেহ বের করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু বিজেপি কর্মীদের বাধায় ব্যর্থ হয় পুলিশ। এলাকায় ছিলেন পুলিশের উচ্চ পদমর্যাচার অফিসাররা। তাঁরা দেহ বের করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে চারিদিক থেকে 'খুন', 'খুন' বলে স্লোগান ওঠে। দেহ উদ্ধারের পর ৫ ঘণ্টা কেটে গেলেও দেহ বের করা যাচ্ছিল না। দফায় দফায় পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ হয়। মৃতের পরিবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে। মৃতের পরিবারের সদস্যদের আরও অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিল অর্জুন! চিৎপুর থানার পুলিশকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি!শেষ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর দেহ বের করে নিয়ে যায় পুলিশ।


অন্যত্র প্রতিবাদ:
কাশীপুরে বিজেপি নেতা অর্জুন চৌরাসিয়াকে খুন করা হয়েছে, এই অভিযোগে হুগলির উত্তরপাড়ায় রাস্তা অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। 


আরও পড়ুন: "পরিকল্পিত চিত্রনাট্য কিনা তদন্ত হওয়া দরকার", কাশীপুর যুব মোর্চার নেতার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় দাবি কুণালের