কলকাতা: ভাঙড়ের (Bhangar) হাতিশালায় তৃণমূলের সঙ্গে ISF-এর সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার তৃণমূলের বুথ সভাপতি-সহ ৫ জন। পুলিশ সূত্রে দাবি, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। যেহেতু সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে, তাই আর লুকিয়ে রাখতে পারছে না, কটাক্ষ করেছে ISF।


গ্রেফতার তৃণমূল নেতা: ভাঙড়ের হাতিশালায় সংঘর্ষের ঘটনায় এবার, তৃণমূলের বুথ সভাপতি-সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করল কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। শনিবার রাতে ভাঙড়জুড়ে তল্লাশি অভিয়ানের সময় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২১ জানুয়ারি, দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে, ভাঙড়ের হাতিশালায় তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ISF। যার জেরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা, সেই ঘটনায় ধৃত নৌশাদ সিদ্দিকি বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে।                                     


পুলিশ সূত্রে দাবি, হামলার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে শনিবার ভাঙড় জুড়ে চলে তল্লাশি অভিযান। তখনই হাতিশালার তৃণমূলের বুথ সভাপতি আজার আলি মিদ্যা সহ ৫ তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, আরও বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “পুলিশ পুলিশের কাজ করবে। তৃণমূল-আইসএফ বলে কিছু নেই। যে দোষ করবে, তাঁকে মাথা নত করতেই হবে।’’ ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূলনেতা-কর্মীদের ১০ তারিখ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।                                                                                 


নৌশাদের অভিযোগ: ভাঙড়ে তৃণমূল-আইএসএফ (TMC-ISF) সংঘর্ষের ঘটনায় আইএসএফ (ISF) বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির (Nawsad Siddique) ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নৌশাদকে হেফাজতে পেয়েছে লেদার কমপ্লেক্স থানা। পঞ্চায়েত ভোটে হেরে যাওয়ার ভয়ে চক্রান্ত করছে তৃণমূল (TMC), আদালতে পেশের আগে এমনটাই দাবি করেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক। পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, 'ধর্মকে অবলম্বন করে রাজনীতি করা উচিত নয়, গোটা বাংলায় একটামাত্র আসন পেয়েছে আইএসএফ। তৃণমূল এ নিয়ে ভাবছে না।' এদিন নৌশাদ সিদ্দিকিকে বারুইপুর আদালত আনা হলে, আদালত চত্বরে স্লোগান দিতে শুরু করেন আইএসএফ কর্মীরা। পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়।


আরও পড়ুন: DA Protest: জারি অবস্থান-ধর্না, জরুরি পরিষেবা বজায় রেখে ফের কর্মবিরতির ডাক