সন্দীপ সরকার ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: করোনাকালে (Corona) শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে (Shambhunath Pandit Hospital) পড়ে নষ্ট হল, কোভিড চিকিৎসায় ব্যবহৃত রেমডেসিভির ইঞ্জেকশন (Remdesivir)। মেয়াদ উত্তীর্ণ সাড়ে আটশো ইঞ্জেকশনের বাজার দর প্রায় ২১ লক্ষ টাকা। কোভিড আবহে বহু মূল্য ওষুধ নষ্ট হওয়ায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।


করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতেই হু হু করে বাড়ছে ওষুধের দাম। সেই সময় সরকারি হাসপাতালে (Government Hospital) পড়ে থেকে নষ্ট হল করোনা চিকিৎসার গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ রেমডেসিভির। ব্যবহারই করা গেল না ৮৫০টি রেমডেসিভির ইঞ্জেকশন। জলে গেল ২১ লক্ষ টাকার ওষুধ। তৃতীয় ঢেউয়ের (Third Wave) ধাক্কায় যখন বাংলায় দৈনিক সংক্রমণ (Daily Corona Case) প্রায় ২৫ হাজারের দিকে, তখন লক্ষ লক্ষ টাকার এই ইঞ্জেকশন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় শোরগোল পড়েছে। শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে নষ্ট হয়েছে ওষুধ, স্বাস্থ্য দফতরকে তা চিঠি দিয়ে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।


গত বছরের ৩০ জুন, শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের (Shambhunath Pandit Hospital) হাতে আসে ৮৫০টি রেমডেসিভির  ইঞ্জেকশন (Remdesivir)। জীবনদায়ী এই ওষুধের তিন মাসের মেয়াদ ফুরোয় গত সেপ্টেম্বরে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সেই সময় করোনার গ্রাফ নিম্নমুখী হওয়ায় ওগুলি ব্যবহার করা যায়নি। অথচ করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় রেমডেসিভিরের চরম আকাল দেখা যায়। পরিস্থিতি এমন হয় যে, রেমডেসিভির রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হয় কেন্দ্রকে।


এই মুহূর্তে বাজারে এই ইঞ্জেকশনের দাম ২২০০ থেকে ২৮০০ টাকা। অর্থাৎ, সাড়ে ৮০০টি ইঞ্জেকশনের দাম প্রায় ২১ লক্ষ টাকা। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সময়, বিপুল অঙ্কের জীবনদায়ী ওষুধের অপচয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে। শুধু রেমডেসিভির নয়, শম্ভুনাথ পণ্ডিতে নষ্ট হয়েছে আরও তিন ধরনের জীবনদায়ী ওষুধ। 


আরও পড়ুন: WB Corona Cases: ২৪ হাজার ছুঁই ছুঁই করোনা সংক্রমণ, একদিনে রেকর্ড মৃত্যু রাজ্যে