কলকাতা: অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা গ্রেফতার। গরুপাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হল। ইডির দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের সময় উত্তর দিচ্ছিলেন না। বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। সেই কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছে।


বাবার গ্রেফতারির ৮ মাসের মাথায় গ্রেফতার হলেন মেয়ে। এর আগে তাঁকে বারবার দিল্লিতে ডাকা হয়েছিল। এর আগে অনেকসময়েই তিনি হাজিরা এড়িয়েছিলেন। এবার ২ দিন পরপর হাজিরা দেন তিনি।


কেন গ্রেফতার:
ইডি সূত্রের খবর, গরু পাচার মামলায় এখনও যা তথ্য হাতে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, যা লেনদেন হয়েছে তাতে সুকন্যার নামে একাধিক লেনদেন ধরা পড়েছে। একাধিক নথিতে সুকন্যার সই রয়েছে। অনুব্রতর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে জেরা করে ইডি জানতে পারে, গরু পাচার করে যে টাকা হাতে এসেছে। তাতে সুকন্যা মণ্ডল সরাসরি লাভবান হয়েছেন। এর আগে বারবার তিনি দাবি করেছিলেন যা তথ্য সব তাঁর বাবা এবং হিসাবরক্ষক জানেন। এর আগে একাধিকবার তিনি হাজিরা এড়িয়েছিলেন। এবার হাজিরা দিলেও এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় কোনওভাবেই সহযোগিতা করছিলেন না সুকন্যা, এমনটাই দাবি ইডির। সেই কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি।


ইডি সূত্রে দাবি, সুকন্যার নামে কোটি কোটি টাকা, নগদ টাকার খোঁজ মিলেছে। সুকন্যার নামের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়েছে। তাঁর নামে বিপুল অঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে। সুকন্যার নামে চালকল রয়েছে। কিন্তু সেগুলো কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন সুকন্যা। এদিকে এর আগে যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি, সেখানে নাকি তাঁরা জানিয়েছেন যাবতীয় লেনদেনের বিষয়ে গোড়া থেকেই জানতেন সুকন্যা। তাঁর অনুমতি নিয়েই সব লেনদেন হতো। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদের সময় নাকি সম্পূর্ণ উল্টো কথা বলেছেন সুকন্যা। সেই কারণেই ইডি আধিকারিকদের সন্দেহ হয়েছে যে তথ্য লুকোচ্ছেন সুকন্যা। সূত্রের খবর, এর আগে ইডি আদালতে জানিয়েছিল অনুব্রত মন্ডলের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে কয়েকজনকে। সেই তালিকায় নাম ছিল সুকন্যার। 


সুকন্যা মন্ডল একটি প্রাথমিক স্কুলে চাকরি করতেন। তাহলে তাঁর নামে এত টাকা, এত সম্পত্তি কীভাবে এল তা নিয়েই গোড়া থেকেই নজর রেখেছিল তদন্তকারী সংস্থা। তারপর বিভিন্ন নথি ইডির হাতে আসে। পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তিদের জেরা করেও বারবার উঠে আসে সুকন্যার  নাম।

আকও পড়ুন: 'ধর্মভিত্তিক সংরক্ষণ সংবিধানের পরিপন্থী', কর্নাটকে সংরক্ষণ প্রশ্নে যোগীর নিশানায় কংগ্রেস