কলকাতা: শহিদ মিনারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভার বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হলেন DA-আন্দোলনকারীরা (DA Agitators)। আগামীকাল অভিষেকের সভা অন্যত্র করার নির্দেশ দিক হাইকোর্ট (Calcutta High Court), আবেদন মামলাকারীদের।


আবেদনে বলা হয়েছে, আদালতের অনুমতিতে হাজার পাঁচেক DA-আন্দোলনকারী শহিদ মিনারের নীচে ধর্নামঞ্চে রয়েছেন। সেখানে আগামীকাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভায় ৪০-৫০ হাজার লোক হলে, গোলমালের আশঙ্কা রয়েছে। মামলাকারীদের আইনজীবীর দাবি, DA-মঞ্চের কাছে সভা করলে, সমস্যা হতে পারে। তাই অন্যত্র সভা করার নির্দেশ দিক হাইকোর্ট। মামলা দায়েরের অনুমতি দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সব পক্ষকে নোটিস দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। আজই দুপুর ২টোয় শুনানি।


রাত বেরোলেই বুধবার, ২৯ মার্চ, ফের কর্মবিরতির পরিকল্পনা করছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সেদিন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে রেড রোডে অম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিনই শহিদ মিনারে হবে তৃণমূলের ছাত্র-যুবদের সমাবেশ। প্রধান বক্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার প্রস্তুতি নিয়ে স্পোর্টিং ইউনিয়ন টেন্টে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও যুব তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করল পুলিশ। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, স্পোর্টিং ইউনিয়ন টেন্টের সামনে মঞ্চ তৈরি করা হবে। মঞ্চের মুখ থাকবে শহিদ মিনারের দিকে।                                  


আর, এই শহিদ মিনার চত্বরেই ৫৮ দিনের উপরে চলছে বকেয়া DA-র দাবিতে অবস্থান। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভামঞ্চের মুখ থাকবে শহিদ মিনারের দিকে, ওখানেই ডিএ-আন্দোলন চলছে। সংঘাত এড়াতে পরিকল্পনা করা হয়েছে, রেড রোড সংলগ্ন জর্জ টেলিগ্রাফ টেন্টের পাশে রাস্তা VIP-দের জন্য নির্দিষ্ট করার। আর, ডাফরিন রোডের ট্রাম লাইনের রাস্তা দিয়ে সভাস্থলে আসবেন তৃণমূলের ছাত্র এবং যুব নেতা-কর্মীরা। 


অপরদিকে, শহিদ মিনারের পাশেই যেহেতু রয়েছে ডিএ আন্দোলনকারীদের যৌথমঞ্চ তাই প্রাথমিকভাবে সভাস্থল নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। পুলিশের তরফে একদিন আন্দোলনকারীদের অবস্থান স্থগিত রাখার জন্য বললে রাজি হননি আন্দোলনকারীরা। আদালতের অনুমতি নিয়ে আন্দোলন করছেন, তাই পুলিশের শর্ত মানতে রাজি হননি আন্দোলনকারীরা।


আরও পড়ুন, আদালতে জটমুক্ত পঞ্চায়েত নির্বাচন, সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে কমিশন    


এদিকে, ১০ অফিসারের বদলি-বিতর্কের মধ্যেই কেটেছে একদিনের বেতন। ডিএ-র (DA) দাবিতে কর্মবিরতি, তালিকা দিয়ে একদিনের বেতন কাটার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থ দফতরের কাছে কর্মীদের তালিকা পাঠিয়েছে উচ্চ শিক্ষা দফতর। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ১০ মার্চ সরকারি অফিসে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। ৯ মার্চের বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে বেতন কাটার নির্দেশ দিয়েছে অর্থ দফতর (Finance Department)। নবান্ন থেকে ৬ আধিকারিকের প্রত্যন্ত এলাকায় বদলির নির্দেশ এসেছে। ঘটনায় প্রতিবাদ আন্দোলনকারীদের।