কলকাতা: মমতা-অভিষেকের পাড়ায় ডিএ মিছিল প্রসঙ্গে আক্রমণ কুণালের। এদিন কুণাল ঘোষ বলেন,‘বাইরে থেকে লোক এনে অসভ্যতা হয়েছে। ডিএ মঞ্চ থেকে কুৎসিত রাজনৈতিক আক্রমণ।' পাশাপাশি এদিন তিনি বিরোধী দলনেতার মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, 'ডিসেম্বর থেকে জুলাই গড়াল ডিএ মামলা, পিছনের খেলা জানি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই খেলা বন্ধ হবে। বিরোধীনেত্রী হিসেবে মমতা হকের দাবির কথা বলেছিলেন। আগামী দিনে লাগাতার কর্মবিরতি করতে, ধর্মঘটে যান। যোগ্য কর্মপ্রার্থীরাও একসঙ্গে পথে নামুন।' আর এরপরেই আপত্তি তুলেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, 'ডিএ মামলা নিয়ে শুভেন্দুর মন্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের অবমাননা।’
মূলত আজ DA-আন্দোলনের শততম দিনে শহরের রাজপথে মহার্ঘ আঁচ। আদালতের অনুমতিতে হাজরা ফায়ার ব্রিগেড থেকে শুরু করে, হরিশ মুখার্জি রোড, ডি এন রোড, এস পি মুখার্জি রোড হয়ে হাজরা মোড় পর্যন্ত মিছিল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে দিয়ে মিছিল করেন আন্দোলনকারীরা। শহিদ মিনার থেকে মিছিল করে হাজরায় পৌঁছন আন্দোলনকারীরা। সেখান থেকে দুপুর ১টা নাগাদ শুরু হয় মিছিল।
একদিকে আজ DA-আন্দোলনের শততম দিন (DA Protest)। শহরের রাজপথে মহার্ঘ আঁচ। ততটাই উত্তপ্ত ময়নায় বিজেপি নেতা 'খুনে' গেরুয়া শিবির। একদিকে যখন শাসকদলের জনসংযোগ যাত্রায় অভিষেকের বক্তব্যে উঠে আসছে, ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকার প্রসঙ্গ। তখন ওদিকে পিচ গলা রাস্তায় নিজেদের বকেয়া ডিএ নিয়ে আন্দোলনে দৃঢ় প্রতিবাদীর দল। সপ্তাহান্তে এমনই আবহে, 'ডিএ আন্দোলনকারীদের জয়ী হতেই হবে' বলে এদিন কুর্ণিশ জানালেন বিরোধী দলনেতা।
প্রসঙ্গত, কোর্টের নির্দেশে বকেয়া DA নিয়ে নবান্নের বৈঠকে মেলেনি সমাধানসূত্র। আন্দোলনে অনড় রাজ্য সরকারি কর্মীরা। লাগাতার ধর্মঘট ও ডিজিটাল অসহযোগিতার মেয়াদ বাড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। শহিদ মিনারে চলছে ধর্না-অবস্থান। বকেয়া DA-র দাবিতে মহামিছিলও করেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তাদের অভিযোগ, সমাধান খোঁজবার সদিচ্ছাই নেই রাজ্য সরকারের। বর্তমানে কেন্দ্র এবং রাজ্য়ের মধ্য়ে DA-র ফারাক ৩৬ শতাংশ। সূত্রের খবর, নবান্নে DA-আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যসচিব জানিয়েছিলেন, অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে বকেয়া DA দেওয়া যাচ্ছে না। সঙ্কট কাটলে নিশ্চয়ই দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ?
অপরদিকে, তৃণমূল সুপ্রিমোকে তীব্র নিশানা করে যবনিকা টানলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'আইপিএসরা পালাচ্ছেন, আরও বাকি আছে। অনেক কিছু দেখতে হবে।নির্বাচনে কে জিতবে, তা ভোটাররা ঠিক করবে। পশ্চিমবঙ্গের অত্যাচারী শাসককে প্রাক্তন করতে হবে। বাংলার পুলিশ ক্রমশ ট্রিগার হ্যাপি হয়ে উঠছে।এবার কালীঘাটের গলিতে ঢুকব। '