কলকাতা: শহিদ মিনারে সভার পাল্টা সভা। আর সেখানেই আন্দোলনকারী 'আক্রান্ত' হলেন বলে অভিযোগ (DA Protests)। 'আক্রান্ত' আন্দোলনকারী হুগলির শিক্ষক। তাঁর উপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ ওই শিক্ষকের। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। পুলিশের সামনেই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত পুলিশের প্রতিক্রিয়া মেলেনি (Kolkata News)। তবে তৃণমূলের দাবি, গোটাটাই সাজানো নাটক।


'আক্রান্ত' ব্যক্তির নাম পিন্টু পাইক বলে জানা গিয়েছে


বুধবার অভিষেকের সভা চলাকালীন, দুপুর ২টো নাগাদ এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে।  'আক্রান্ত' ব্যক্তির নাম পিন্টু পাইক বলে জানা গিয়েছে। হুগলির একটি স্কুলে অ্যাস্টিট্যান্ট শিক্ষক তিনি। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, পিন্টু যখন এক মহিলা শিক্ষিকাকে নিয়ে শৌচালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন, সেই সময় তাঁর বুকে আন্দোলনকারীদের ব্যাজ লাগানো ছিল। সেই সময় বেশ কয়েক জন তৃণণূল কর্মী তাঁর উপর হামলা চালান। মারধর করা হয়, এমনকি জামা-কাপড় এবং ব্যাজও ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাতে ওই শিক্ষককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 


এই ঘটনায় কড়া অবস্থান নিতে চলেছেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, আদালত জানিয়েছিল, সুষ্ঠ ভাবে সভা সম্পন্ন করতে হবে। তা হয়নি। আদালতের অবমাননা হয়েছে বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। বিষয়টি নিয়ে আগামী কয়েক দিনের মধ্য়ে তাঁরা ফের আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এ নিয়ে পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি এখনও পর্যন্ত। তবে তৃণমূলের রাজ্য় সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ গোটা বিষয়টিকেই সাজানো নাটক বলে উল্লেখ করেন।


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: 'চিরকুটে চাকরি পেয়েছেন যাঁরা, তাঁরাই DA আন্দোলনে বসে রয়েছেন', ধর্নামঞ্চ থেকে বললেন মমতা


মেগা ইভেন্ট ঘিরে এ দিন সকাল থেকেই সরগরম ছিল কলকাতা শহর। একদিকে তৃণমূল, অন্য় দিকে তিন বিরোধী দল। একইদিনে রাস্তায় নামে সবাই। সেই সঙ্গে ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনও চলছিল। একসঙ্গে এত কর্মসূচির ঘনঘটায়, বুধবারের বঙ্গ রাজনীতি হয়ে উঠল ব্লকবাস্টার। আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণের উত্তাপে, দিনভর চড়ল বাগযুদ্ধের পারদ।


মেগা ইভেন্ট ঘিরে এ দিন সকাল থেকেই সরগরম ছিল কলকাতা শহর


কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বঞ্চনা করা হচ্ছে বাংলাকে, এই দাবিতে তৃণমূল যখন সরব, শ্য়ামবাজারের ধর্নামঞ্চ থেকে পাল্টা দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে রাজ্য়ের শাসক দলকে নিশানা করে বঙ্গ বিজেপি। কেন্দ্রের পাঠানো টাকা লুঠ করছে তৃণমূল সরকার, অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। এ দিন, বামেদের সঙ্গে একযোগে মিছিলে হাঁটে কংগ্রেসও। রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ, আদানি ইস্যু, কেন্দ্রের বঞ্চনা এবং রাজ্যে অপশাসনের বিরুদ্ধে একযোগে সরব হয় তারা।