মলয় চক্রবর্তী, দার্জিলিং: স্পেশাল মোজা বানিয়ে সোনা পাচার করার আগে পুলিশের হাতে পাকড়াও এক যুবক (Arrest)। গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে,  নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে অভিযান চালিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা রাজস্ব দফতরের আধিকারিকেরা সোনা-সহ হাতেনাতে গ্রেফতার বিহারের বাসিন্দা বিকাশ কুমার।


 ধৃতকে ইতিমধ্যেই তোলা হয়েছে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে। উদ্ধার হওয়া সোনার আনুমানিক বাজার মূল্য ৯৪ লক্ষ টাকা। কেন্দ্রীয় রাজস্ব দফতরের সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে,ধৃত সেই যুবক ত্রিপুরার আগরতলা থেকে ট্রেনে সোনা নিয়ে বিহারের ছাপড়ায় পাচারের ছক কষে ছিল। তার আগেই পুলিশের হাতে হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় সেই যুবক। জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি এনজেপি স্টেশনে সন্দেহের বসে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করায় জানতে পারে মোট ১১ পিস সোনা, স্পেশাল মোজার ভেতরে নিয়ে পাচার করার ছক ছিল তাঁর। এরপর হেফাজতে নেওয়া হয় তাঁকে।


কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা রাজস্ব দফতরের সূত্র অনুযায়ী, উদ্ধার হওয়া সোনার ওজন ১ কিলো ৬২৮ গ্রাম। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৯৪ লক্ষ টাকা। গতকাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা রাজস্ব দফতরের আধিকারিকদের পক্ষ থেকে ধৃতদের আদালতে তোলা পেশ করা হয়েছে।পাশাপাশি এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা সে বিষয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


সম্প্রতি হাওড়া স্টেশন থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল আড়াই কোটি টাকার বেশি অর্থ মূল্যের সোনা। আটক করা হয়েছিল এক রেলযাত্রীকে। রেল পুলিশ সূত্রে খবর,  ললিত কুমার নামে ওই ব্যক্তি তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরের বাসিন্দা। আরপিএফ-এর পক্ষ থেকে সমস্ত সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। রেলপুলিশ সূত্রে খবর,  ডাউন শ্রী সত্য প্রশান্তি নিলায়ম হাওড়া এক্সপ্রেস হাওড়া স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্সে পৌঁছায়।


ট্রলি ব্যাগে নিয়ে এক যাত্রী সন্দেহজনক ভাবে প্লাটফর্ম দিয়ে বেরোনোর চেষ্টা করলে তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে সেদিন আরপিএফ জওয়ানরা। ধৃতের ব্যাগ তল্লাশি করলে ৫ কিলো ১৩৫ গ্রাম সোনা উদ্ধার করেছিল আরপিএফ জওয়ানরা। যার বাজার মূল্য ২ কোটি ৬২ লক্ষ ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়াও তার কাছ থেকে নগদ ৪৭,০০০ টাকা উদ্ধার হয়। বছর ৫৭-র ললিত কুমার নামে ওই ব্যক্তি সোনার কোন প্রমাণপত্র দাখিল করতে না পারায় তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছিল আরপিএফ এর আধিকারিকরা।


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ? 


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


আরপিএফ সূত্রে খবর ললিত কুমার নামে ওই ব্যক্তি তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরের বাসিন্দা। তার কলকাতাতেও সোনার দোকান আছে। উড়িষ্যার ভুবনেশ্বরের দুই বড় সোনার দোকানের মালিকের কাছ থেকে সোনার অর্ডার পেয়ে দক্ষিণ ভারত থেকে সোনা নিয়ে ভুবনেশ্বরে যান। কিন্তু দুই দোকানদার অর্ডার বাতিল করেন। ফলে সে সোনা নিয়ে কলকাতায় ফেরার পথে হাওড়া স্টেশনে ধরা পড়েন। যদিও এই  ঘটনার পুরো তদন্ত করছে রেল পুলিশ।