মোহন প্রসাদ, দার্জিলিং: তিন কেন্দ্রে উপনির্বাচন ও নির্বাচন নিয়ে সরগরম রাজ্য। তার মধ্যেই পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোট করানোর পক্ষে সওয়াল করল দার্জিলিংয়ের সব রাজনৈতিক দল।
৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর কেন্দ্রে হাইভোল্টেজ উপ নির্বাচন।তা নিয়ে রাজনীতির পারদ চড়ছে। এই আবহে পাহাড়ে উঠল পঞ্চায়েত ভোটের দাবি। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ছেড়ে বেরিয়ে সদ্য নতুন দল গড়েছেন অনীত থাপা। নতুন দলের নাম ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা।শনিবার সেই নতুন দলের পতাকা কার্শিয়ং শহরের বিভিন্ন জায়গায় লাগানো হয়। নতুন দলের প্রধানের মুখেও উঠে এসেছে পঞ্চায়েত ভোটের দাবি। ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার প্রধান অনীত থাপা বলেছেন, পাহাড়ে শুধু গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)-র নির্বাচনই নয়, সমস্ত ভোটই হওয়া দরকার। পঞ্চায়েত ভোটও হওয়া উচিত।
একই কথা শোনা গিয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার মুখে।গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুঙ্গ বলেছেন, পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোট হওয়া উচিত। কারণ, পঞ্চায়েত নির্বাচন না হওয়ায় গ্রামগুলিকে এর ফল ভুগতে হচ্ছে।
পাহাড়ে শেষ পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে ২০০০ সালে।সূত্রে খবর, ২০০৫ সালে পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার কথা থাকলেও, তা হয়নি। তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে গঠিত হয় জিটিএ। এরপর বারবার তপ্ত হয়েছে পাহাড়। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোট হয়নি।
দার্জিলিং তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী তথা রাজ্যসভা সাংসদ শান্তা ছেত্রী বলেছেন, ২০০০ সালের পর থেকে পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোট হয়নি। তখন বাম সরকার ছিল। কেন করেনি বলতে পারব না। আমাদের সরকারের ভাবনা চিন্তা রয়েছে পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোট করানোর।
পাহাড়ের সিপিএম নেতৃত্বের প্রশ্ন, তৃণমূলও রাজ্যে অনেকদিন ক্ষমতায় রয়েছে। জিটিএ চুক্তিতেও পঞ্চায়েত ভোটের কথা বলা আছে। তারপরেও তা হয়নি কেন?
দীর্ঘ সময় ধরে প্রশাসনিক আধিকারিকরাই পাহাড়ে পঞ্চায়েত পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন।