সুনীত হালদার, হাওড়া: বহুতলের নিচ থেকে উদ্ধার সদ্যোজাত কন্যা সন্তানের মৃতদেহ (Dead Body)। হাওড়া (Howrah) জেলার ঘটনা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিবপুর (Shibpur) কাউস ঘাট রোড এলাকায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ সদ্যোজাতকে ওপর থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। জোরে কিছু পড়ার আওয়াজ শুনে তারা এসে দেখতে পান। শিবপুর থানার (Shibpur Thana) পুলিশ মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। সন্দেহভাজন কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ১১ নম্বর কাউস ঘাট রোডে একটি বহুতলের তিনতলায় থাকেন এক মহিলা ও তাঁর মা। যানা যায় সেই মহিলা সন্তান প্রসব করেছিলেন। এরপরই অভিযুক্ত মহিলা ও তাঁর মা মিলে সেই সন্তানকে হত্যা করেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ভিসেরা পরীক্ষার জন্য দেহের কিছু অংশ সংগ্ৰহ করা হয়েছে।ওই মহিলা ও তাঁর মাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। 


রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া দেখা গিয়েছিল জলপাইগুড়িতে 


কিছুদিন আগেই, একেবারে যেন রবিনসন স্ট্রিটের ঘটনা। তবে এখানে গল্পটা একটু অন্যরকম। নিজেই বাড়ির কর্তাকে খুন করে সেই মৃতদেহ আগলে রাখার অভিযোগ উঠল মেয়ে ও মায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়িতে। 


ঠিক কী ঘটনা হয়েছিল?


তিনদিন থেকে বাবার মৃতদেহ আগলে রাখার অভিযোগ উঠল বাড়ির মেয়ে ও মায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে কোতয়ালি থানার পুলিশ এসে বাড়ি থেকে মৃতদেহ বের করে। এরপরই অভিযুক্ত মেয়ে ও স্ত্রীকে ব্যাপক মারধর করে মৃত অজিত কর্মকারের বোন। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাড়ির কর্তার সঙ্গে ঝামেলা হচ্ছিল তাঁর মেয়ে ও স্ত্রী-র। নানা সময় প্রতিবেশীরা সেই বাড়ি থেকে ঝামেলা হওয়ার আঁচও পেতেন। কিন্তু এতটা নির্মম পরিণতি হবে, তা কেউই আন্দাজ করতে পারেনি।


জানা গিয়েছে, মৃতের নাম অজিত কর্মকার। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী ছিলেন তিনি। অভিযোগ অজিত বাবুর মেয়ে অনিন্দিতা কর্মকার, স্ত্রী অঞ্জলি কর্মকার অজিত বাবুকে মেরে তাঁর মৃতদেহ তিনদিন ধরে আগলে রেখেছিল বলে অভিযোগ। তদন্তে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।


আরও পড়ুন: "কোনও অথরিটি আমার বিরুদ্ধে কোনও অর্ডার করেননি,'' প্রতিক্রিয়া মানিক ভট্টাচার্যর