ঝিলম করঞ্জাই ও সন্দীপ সরকার, কলকাতা : এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি করোনা সংক্রমণ (Corona)। এরইমধ্যে রাজ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট বলছে, গতবছরের থেকে এবছর ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭ গুণ বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


রাজ্যে করোনার প্রকোপ একটু কমতেই, চোখ রাঙাতে শুরু করেছে ডেঙ্গি। গত বছর, জানুয়ারি থেকে অগাস্টের প্রথম সপ্তাহ অবধি রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৫৭। আর এ বছরের শুরু থেকে অগাস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সংখ্যাটা ৩ হাজার ১০৪। অর্থাৎ এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট, কীভাবে হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি।


সম্প্রতি নবান্নকে (Nabanna) এই রিপোর্ট জমা দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর (Health Department)। যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক বছরে, প্রায় ৭ গুণ বেড়েছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। রিপোর্ট বলছে, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া-সহ রাজ্যের ১২টি পুরসভায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভীষণরকম উদ্বেগজনক। সেই তালিকায় রয়েছে, কলকাতা(Kolkata), হাওড়া(Howrah), বালি, পানিহাটি, আসানসোল, কামারহাটি, বিধাননগর, টিটাগড়, ইংরেজবাজার, রিষড়া, রাজপুর-সোনারপুর ও শিলিগুড়ি পুরসভা। স্বাস্থ্য দফতর বলছে, বাংলার গ্রামীণ এলাকার ১৬টি ব্লকের ডেঙ্গি পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগের।


ডেঙ্গি রোগের জীবাণু বহণ করে এডিস ইজিপ্টাই মশা। পরিষ্কার জলে ডিম পাড়ে এই মশা। পুরো জীবনচক্রে মশার শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু বেঁচে থাকে। ফলে স্ত্রী মশা ডিম পাড়লে তার মাধ্যমে জন্মানো নতুন মশার শরীরেও ডেঙ্গির জীবাণু সংক্রমিত হয় এবং সেই মশা কামড়ালে রোগ ছড়ায় মানুষের শরীরে।


কী কী উপসর্গ দেখে বুঝবেন, যে ডেঙ্গি হতে পারে? 



  • ধুম জ্বরের পাশাপাশি মাথা ও গায়ে প্রচন্ড ব্যথা। 

  • ঘন ঘন বমি পাওয়া। শরীরে জলের পরিমাণ কমে যাওয়া। 

  • গোটা গায়ে লাল ছোপ ছোপ দাগ, চুলকানি। 

  • নাক, মুখ থেকে রক্তপাত 

  • এমনকী প্রস্রাব, পায়খানার সঙ্গেও রক্ত পড়তে শুরু করে। 


চিকিৎসকদের পরামর্শ, এসব লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে হবে।


ডেঙ্গির মশার হাত থেকে বাঁচতে কী করবেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, 



  • ঘরের মধ্যে বা আশেপাশে জল জমতে দেবেন না। 

  • মশারি ব্যবহার করুন।

  • আর জ্বর হলেই চিকিত্‍সকের পরামর্শ নিন। 


আরও পড়ুন- জ্বর ছেড়ে গেলেও ডেঙ্গি থেকে নিশ্চিন্ত নয়! কোন লক্ষণ দেখেই চিনবেন