দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ঢোলাহাট বিস্ফোরণ-কাণ্ডে এবিপি আনন্দর হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৪ মার্চ বাটানগরে বাজি নির্মাতা-বিক্রেতাদের নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেই প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করে অল বেঙ্গল তৃণমূল গ্রিন ফায়ার ক্র্যাকার্স ম্যানুফ্যাকচারিং ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। সেই অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে ছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডিরেক্টরেট অফ ফ্যাক্টরিজ, পুলিশ সূত্রে খবর।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বাজি সংক্রান্ত সাবধানতামূলক সেই শিবিরে অংশ নিয়েছিলেন চন্দ্রকান্ত বণিক। বাজির বিপদ কীভাবে এড়াতে হয়, তার পাঠ নেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে বাজি ব্যবসায়ীর বাড়িতেই উলটপুরাণ!বাজির বিপদ সম্পর্কে সব জেনেও কীভাবে তিনি নিজের বাড়িতেই বিপুল বাজি মজুত করলেন? এখানেই উঠেছে প্রশ্ন।ইতিমধ্যেই ঢোলাহাটে বাজি বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ব্যবসায়ী চন্দ্রকান্ত বণিক গ্রেফতার। সুরক্ষাকে শিকেয় তুলে ঘরের মধ্যে মিলেছে বিপুল বাজির সম্ভার!দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাটে বিস্ফোরণকাণ্ডে ব্যবসায়ী পরিবার ও প্রশাসন, দু'পক্ষেরই চরম গাফিলতি সামনে এসেছে।
ফের বাজি কাড়ল প্রাণ। পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাটে বাড়িতে মজুত বেআইনি বাজি বিস্ফোরণে মৃত্যু হল ৩ শিশু-সহ একই পরিবারের ৮ জনের।মৃতদের মধ্যে ৬ ও ৮ মাসের দুই শিশু থেকে ৮০ বছরের বৃদ্ধা রয়েছেন। গোটা বাড়ি কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বাজি কারখানার মালিক দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে ঢোলাহাট থানার পুলিশ। বারুদের স্তূপে বাংলা? দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাটে বেআইনিভাবে মজুত বাজি ফেটে ৩ শিশু-সহ একই পরিবারের ৮ জনের মৃত্যু ঘিরে ফের উঠল প্রশ্ন।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ দক্ষিণ রায়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃতীয় ঘেরি গ্রামে চন্দ্রকান্ত বণিকের বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। বিস্ফোরণের পর গোটা বাড়িটাই কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়ায়, ঘরের ভিতর থেকে আলমারি উড়ে গিয়ে পড়েছে মাঠে। জানলার ফ্রেম ভেঙে পড়ে আছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গ্রামের মধ্যে বাজির কারবারে বাধা দিয়েছিলেন তাঁরা। পাথরপ্রতিমা ঢোলাহাট বাসিন্দা বলেন, 'এখানে প্রতিবেশীও প্রতিবাদ করেছে। বলেছে, আমরা লাইসেন্সভুক্ত আছি। আজকে প্রশাসন যে সতর্কতা দেখাচ্ছে, এখানে রাস্তায় ব্যারিকেড দিচ্ছে, ওখানে রাস্তায় ব্যারিকেড দিচ্ছে। আজকে দেখাচ্ছে যে, আমরা (পুলিশ) মোটামুটি খুব কাজ করছি দেখুন। কিন্তু এটা আগামী দিনে করলে এই ঘটনা, এই দুর্ঘটনা ঘটত না। পুলিশের নাকের ডগায় এখানে হচ্ছে, পুলিশ এখানে দায়ী। '
আরও পড়ুন, হাইকোর্টে 'সাময়িক স্বস্তি' অর্জুনের ! 'কঠোর পদক্ষেপ নয়..'