তুহিন অধিকারী ও অর্ণব মুখোপাধ্যায়, বাঁকুড়া: নবান্ন অভিযান (Nabanna March) ঘিরে সাজ সাজ রব দলের অন্দরে। তার আগে দলের কর্মীদের চাঙ্গা করতে নেমে পড়লেন বিজেপি-র (BJP) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। আর তাতেই ফের ফের শোনা গেল দিলীপ-বাণী। তাঁর বক্তব্য, "খালি হাতে যাব না, কাঁচা বাঁশ কেটে নিয়ে যাব। মারলে গায়ে দাগ থাকবে।"


নবান্ন অভিযানের আগে ফের দিলীপের বাক্যবাণ


বাঁকুড়ায় (Bankura News) নবান্ন অভিযানের প্রস্তুতি সভায় এমন মন্তব্য করেন দিলীপ। কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, "এখন থেকে বাঁশ কেটে রাখুন। শুকাবেন না, ঘরের মধ্যে রাখুন। চাঁচবেন না, গাঁট বেরিয়ে থাকে যেন। মারলে গায়ে দাগ থাকবে।"


বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যেই যা নিয়ে তপ্ত হতে শুরু করেছে বাংলার রাজনীতি। এই প্রেক্ষাপটে এবার হুঁশিয়ারি শোনা গেল দিলীপের গলায়। তৃণমূল অবশ্য জবাব দিতে দেরি করেনি। দলের রাজ্যসভা সাংসদ শান্তনু বলেন, "ওরা যত খারাপ বলবে, তত আমাদের পক্ষে ভাল হবে।"


শিক্ষক নিয়োগ থেকে গরু এবং কয়লাপাচার মামলায় বিদ্ধ রাজ্যের শাসক দল। তা নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে বিজেপি। 'চোর ধরো, জেল ভরো' স্লোগানে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে যাচ্ছে তারা। তার আগে জেলায় জেলায় প্রস্তুতি এবং প্রচার শুরু হয়েছে।


আরও পড়ুন: Sitalkuchi News: শীতলকুচিতে বিজেপি-র মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার, মুহুর্মুহু বোমাবাজির অভিযোগ, তৃণমূলকে দোষারোপ, অস্বীকার উদয়নের


রবিবার তেমনই, বিষ্ণুপুরে 'চোর ধরো, জেল ভরো' স্লোগান তুলে মিছিল করে বিজেপি। মিছিল শেষে, দুর্নীতি ইস্যুতে সভামঞ্চ থেকে চাঁছাছোলা ভাষায়, তৃণমূলকে নিশানা করেন দিলীপ। তাঁকে বলতে শোনা যায়, "নতুন জামাকাপড় পরার সুযোগ হবে না। জেলে কাটাতে হবে। রোজ রেড হচ্ছে। আর CBI, ED দিদির পুলিশের মতো নয়। ঠিক গন্ধ পেয়ে যাচ্ছে টাকাটা কোথায় আছে। খপ করে ধরে নিচ্ছে।"


দিলীপ আরও বলেন, "পুলিশ দিয়ে সমস্ত পঞ্চায়েতে লুঠ করে নেওয়া হয়েছে। মনোনয়ন জমা করতে দেওয়া হয়নি। আমরা সাদা মনে ভোট করতে গিয়েছিলাম। সাদা মনে কাদা নেই। ভাবছেন, মনোনয়ন জমা পড়বে, ভোট হবে, লোক ভোট দেবে। কিন্তু আমাদেরকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সাতদিন ধরে SDO অফিস, BDO অফিস ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। এবারে কিন্তু খালি হাতে যাব না, কাঁচা বাঁশ কেটে নিয়ে যাব। হাতে করে নেব। কি, ঠিক আছে তো?"


বিজেপি-র নবান্ন অভিযান ঘিরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ


নবান্ন অভিযানের আগে বিজেপি-র প্রস্তুতি মিছিল ঘিরেও চড়ছে উত্তেজনার পারদ। কিন্তু তাতে এ দিন ঝামেলা বাধে কোচবিহারে। সেখানকার শীতলকুচিতে বিজেপি-র মিছিল ঘিরে শুরু হয় ধুন্ধুমার। এমনকি বোমাবাজিও হয় বলে অভিযোগ। তাতে সরাসরি তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলেছে বিজেপি। যদিও তৃণমূলের দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার জন্য তাদের নেতা-কর্মীরা সব মালবাজারে। শীতলকুচিতে বিজেপি-র বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যেই অশান্তি বাধে।