রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: প্রতারণার (Fraud) নয়া ফন্দি। অনলাইন অ্যাপের (online app) মাধ্যমে বন্ধুত্ব করে। তারপরেই প্রতারণা। অত্যাধুনিক এই প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম (Bidhannagar Cyber Crime) থানার পুলিশ। সোনারপুর (Sonarpur) থেকে গ্রেফতার করা হল মূল অভিযুক্ত এক মহিলাকে।
নয়া পদ্ধতিতে প্রতারণার পর্দাফাঁস
নতুন পদ্ধতিতে চলছিল প্রতারণা চক্র। অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে প্রথমে বন্ধুত্ব, তারপরেই প্রতারণা। পুলিশ সূত্রে খবর, লেকটাউনের বাসিন্দা এক ব্যক্তি বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় এসে অভিযোগ করে জানান, যে অনলাইন ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে তাঁর এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয়। বেশ কিছুদিন ধরেই কথাবার্তার মাধ্যমে সম্পর্ক গভীর হয় দু'জনের মধ্যে।
এরই মাঝে জুলাই মাসে সল্টলেকের একটি তিন তারা হোটেলে যাওয়ার কথা ছিল দুজনের। তবে ২৯ জুলাই সেই হোটেলে ব্যক্তির আগেই পৌঁছে যায় ওই মহিলা। তিনি আগে থেকেই ঘরে খাবার খাচ্ছিলেন বলে অভিযোগকারীর দাবি। এরপর সেই যুবক ঘরে ঢুকলে সেই খাবার ওই ব্যক্তিকেও খাওয়ান ওই মহিলা, দাবি অভিযোগকারীর। এরপর হঠাৎই জ্ঞান হারান ওই ব্যক্তি। এর পরের দিন হোটেলের কর্মীরা দেখতে পান সেই ঘরে জল চলছে। ধাক্কা দিতেই দরজা খুলে যায়। কর্মীরা দেখতে পান ওই ব্যক্তি খাটে ঘুমোচ্ছেন। হোটেলের কর্মীদের ডাকে প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর জ্ঞান আসে ওই যুবকের। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গেছে। ব্যক্তি উঠে দেখেন তাঁর টাকা, ব্যাগ, ঘড়ি সবই খোয়া গেছে। পাশাপাশি ফোনের ওটিপি নিয়ে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার জিনিস কেনা হয়েছে।
অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে উঠে আসে সোনারপুর এলাকার বাসিন্দা আলো দেবের নাম। গতকাল সোনারপুর এলাকায় হানা দিয়ে ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। আজ তাকে বিধাননগর আদালতে তোলা হয়। আদালত তাকে ৫ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
দিন দুই আগে ব্যবসায়িক লেনদেনে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। মালদায় (Malda News) গ্রেফতার করা হয় ব্যবসায়ী ও তাঁর ছেলেকে (Father and Son Arrested)। কলকাতা পুলিশের একটি দল ৯ সেপ্টেম্বর মালদার অভিরামপুরে ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয়। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পরে ব্যবসায়ী ও তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়।