রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: বিদ্রোহের আঁচে গা পুড়ছে রাজ্য নেতাদের। সেই অবস্থায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur) এবং বিক্ষুব্ধ নেতাদের চড়ুইভাতি নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্য বিজেপি-র (BJP) প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh Update)। বিজেপি-তে নিরামিষ-আমিষ সব চলে বলে মন্তব্য করলেন তিনি। এমন মন্তব্য করে দিলীপ আসলে সহাবস্থানের বার্তা দিচ্ছেন বলে মনে করছ গেরুয়া শিবির।
রোজকার মতো মঙ্গলবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরোন দিলীপ। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে বিক্ষুব্ধদের চড়ুইভাতির প্রসঙ্গ উঠে আসে। তা নিয়ে দিলীপ বলেন, ‘‘বিজেপি মানেই নিরামিষ নয়। আগে পার্টি অফিসে বিরিয়ানি পর্যন্ত খাওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতারা প্রায় কলেই নিরামিষ খান। তাই নিরামিষও করা হতো। তাই বিক্ষুব্ধদের মিটিং বা পিকনিকে নিরামিষ নতুন কিছু নয়।’’
নির্বাচনী পরাজয় এবং নবগঠিত রাজ্য কমিটি নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই অন্তর্দ্বন্দ্ব চলছে বিজেপি-তে। শান্তনু, মতুয়া বিধায়কদের অধিকাংশ তো বটেই সায়ন্তন বসু, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ও দলের রাজ্য নেতৃত্বের প্রতি অসন্তুষ্ট। একে একে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়া থেকে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দেওয়া চলছেই।
তার মধ্যেই ভোটপূর্বে অমিত শাহের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) কার্যকরের দাবি উঠছে। এমনকি নির্বাচনী পরাজয়ের মাসুল গুনতে হয়েছে দিলীপকেও। এমন পরিস্থিতিতে দিলীপের বক্তব্য, ‘‘দলে কিছু লোক সবসময়ই বিক্ষুব্ধ থাকেন। মে মাসের পর থেকে সকলের মন খারাপ। এটা কেটে যাবে।’’
বিজেপি-র অভ্যন্তরীণ বিবাদের জন্য তৃণমূলের তরফে যদিও দিলীপের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিজেপি-তে বিদ্রোহে দিলীপের ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। দিলীপ যদিও তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ। বরং দলের বিরুদ্ধে ফের মমতা বন্দোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মহাত্মা গাঁধী এবং নেতাজির সঙ্গে তুলনা করায় মদন মিত্রকে কটাক্ষ করেছেন তিনি। দিলীপের বক্তব্য, ‘‘মদন মিত্র বোধহয় চার্জশিট খাওয়ার মুখে রয়েছেন। তাই স্তুতি গাইছেন।’’