রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠকের পর কীসের ইঙ্গিত মমতার ? বাংলায় কি আগামী লোকসভায় বিজেপির মুখ সৌরভ? ২০০০ টাকার নোট ইস্যু থেকে সাম্প্রতিককালে ঘটে যাওয়া একের পর এক ঘটনায় নিয়ে এদিন প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।


কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠকের পর কীসের ইঙ্গিত মমতার?


মূলত বুধবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। আর সেখানে এসেই তিনি বলেন, 'উনি আগে খোঁজ নিন ওনার পার্টিটা আছে কিনা। ওনার সরকারের কী অবস্থা। বিধায়করা মন্ত্রীরা সব মুখ খুলছে। এটা ওনার পুরনো অভ্যাস। একটা ঘোট পাকিয়ে দিয়ে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। নেতা মন্ত্রীরা জেলে। নেতাদের ডাকাডাকি চলছে। চাকরি দিতে পারছে না। দুর্নীতিতে ডুবে আছে। এর থেকে নজর ঘোরাতে চারিদিকে বোমা বিস্ফোরণ করা হচ্ছে। এটা আসলে চক্রান্ত। পুলিশ জানে। পার্টির লোকেরা যুক্ত। বোমার আওয়াজ করে ভয় দেখিয়ে সবাইকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে। সৌগত রায় বড় বিজ্ঞানী। তাঁর ৭৫ বছর বয়স। ওনাকে জিজ্ঞাসা করুন, উনি কোনও দিন দেখেছেন, গরমে বোমা ফেটে যায় ? হঠাৎ এভাবে পরপর ফাটতে আরম্ভ করল।' 


কী এমন বাজি ছিল মালদায় ? যে দশ ঘন্টা পরেও নেভানো যাচ্ছে না আগুন ? কী ছিল ভিতরে ?


দিলীপ ঘোষ বলেন,' এটা বাজি বানানোর সময়। এখন বানানো হয়। সারা বছর স্টক করা হয়। চম্পাহাটি বা মহেশতলা, সব জায়গায় অন্যান্য বছর এই সময় গিয়ে দেখেছি, বাড়ির সামনে বাজি তৈরি করে রোদে দেওয়া আছে। বাড়ির মহিলারাও কাজ করেন। যদি বেআইনি হয়, প্রথমে আটকায়নি কেন? আর এখন কেন পেটি পেটি বাজি তুলে হচ্ছে ? এটা অমানবিক।'


বাঁকুড়ার খাতড়ায় কুরমি বিক্ষোভের মুখে অভিষেক


এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,' এ সব সেটিং। যেহেতু আমাদের ঘেরাও করার পর আমরা সোচ্চার  হয়েছি। ওদের টাকায় বাস নিয়ে এসে আমার বাড়ি ঘেরাও করা হয়েছে। আমি প্রতিবাদ করেছি। মানুষের কাছে ব্যাপারটা এক্সপোজ হয়ে গেছে, সেই নেতারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাই লোক দেখানোর জন্য এখন অভিষেককে ঘেরাও করা হচ্ছে।'


বিজেপিতে সৌরভ ? ত্রিপুরার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার, বাংলায় কি আগামী লোকসভায় বিজেপির মুখ সৌরভ?


এই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন,' অমিতাভ বচ্চন একাধিক রাজ্যের পর্যটনের মুখ ছিলেন। যারা সেলিব্রিটি তাদের বিভিন্ন রাজ্য সামনে নিয়ে যায়। জানি না উনি রাজি হবেন কিনা। ত্রিপুরা দ্রুত উন্নতি করছে। চোখে পড়ার মতো। উনি যদি যুক্ত হন, তাহলে বাঙালি হিসেবে একটা সেন্টিমেন্ট এর জায়গা তো থেকেই যায়।' 


রবিবার দেশের নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন বয়কট তৃণমূল কংগ্রেসের


এই প্রসঙ্গে, তিনি বলেন,' লোকসভায় যুগ্ম অধিবেশন বয়কট করে। মোদি লোকসভার নেতা। তাই উনি উদ্বোধন করছেন। রাষ্ট্রপতি সেখানে আমন্ত্রিত। এর আগে লাইব্রেরি উদ্বোধন হয়েছে। রাজীব  গাঁধী গেছেন। অ্যানেক্স ভবন উদ্বোধন হয়েছে। ইন্দিরা  গাঁধী গেছেন। তখন এই তৃণমূলের  লোকেরা কংগ্রেস ছিল। তাই প্রতিবাদ করেননি। তাহলে আজ কীসের প্রতিবাদ ? আসলে সমাজ থেকে এরা ব্রাত্য।  তাই সব জায়গা থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। যারা বয়কট করছে, তাদের পাবলিক আগামী নির্বাচনে বয়কট করে দেবে।' 


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?



  নোট বদল, আবার কি মানুষের ভোগান্তি?


তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন,' অত নোট নেই। সবার কাছে এই নোটও নেই। যাদের কাছে আছে, তাঁদেরও এক্ষুনি জমা দেওয়ার দরকার নেই। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় আছে। সুবিধামত জমা দেবেন। ভয়ের কোনও কারণ নেই। যারা ভয় দেখাচ্ছেন, তাদের থেকে সাবধানে থাকুন।'


 বিরোধী ঐক্যের বার্তা নিয়ে নবান্নে দিল্লি-পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক মমতার, এবারও নাম নিলেন না কংগ্রেসের 


এই প্রসঙ্গে দিলীপের সংযোজন, ' কংগ্রেস সম্পর্কে মতামত কী ? একবার বলছেন, কংগ্রেস বাদ। একবার বলছেন, কংগ্রেস চাই। লেনদেনের প্রশ্ন উঠছে। উনি ওনার স্ট্যান্ড ক্লিয়ার করুন। এগুলো সব ড্রামা। মমতার কাছে সবাই আসছে। উদ্দেশ্য তাঁকে জলে নামিয়ে দেওয়া। কিন্তু আগের বার জলে নেমে লাফালাফি করায় ১২টা সিট কমে গেছে। তাই উনি এবার রাজি হচ্ছেন না। নবীন পট্টনায়ক রাজি হচ্ছেন না। মোদিজির সামনে আসতে কেউ সাহস পাচ্ছেন না।'