করুণাময় সিংহ ও ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: মালদায় (Malda News) তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা। ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার ইংরেজবাজার শহর তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি-সহ ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এতেই মাথাচাড়া দিচ্ছে আরও বেশ কিছু প্রশ্ন। এলাকা দখলের লড়াইতেই কি খুন মালদার তৃণমূল জেলা সহ সভাপতি দুলাল সরকার? উঠছে এই প্রশ্নও। 


২০২২-এর পুরসভা ভোটে ইংরেজবাজার পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী হন নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির স্ত্রী অঞ্জু তিওয়ারি। নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়ে তাঁকে ভোটে হারানোর অভিযোগ ওঠে দুলাল সরকারের বিরুদ্ধে। এরপর নরেন্দ্রনাথ, তাঁর ভাই-সহ বেশ কয়েকজনের ওপর হামলারও অভিযোগ ওঠে। সেই পুরনো শত্রুতার জেরেই কি খুন হলেন দুলাল সরকার? ইংরেজবাজার পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্য়ান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর দাবি, এর আগে দুলালকে  খুনের হুমকি দিয়েছিলেন নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। নরেন্দ্রনাথকে দলেরই একাংশ মদত জুগিয়েছিল বলেও দাবি করেছেন কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ। নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রীর দাবি, দুলাল সরকার ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান হলে তাঁর ক্ষমতা আরও বাড়বে মনে করেই আক্রোশবশত খুন। এদিন গ্রেফতারির পর  নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি বলেন, "বড় মাথার শিকার বাবলা হয়েছে। বড় মাথার শিকার আমি হলাম।''


গত ২ জানুয়ারি দিনেদুপুরে ঘটে গেল হাড়হিম করা খুনের ঘটনা। নিহত দুলাল সরকার তৃণমূলের মালদা জেলার সহ সভাপতি। সেই সঙ্গে তিনি ইংরেজবাজার পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরও। নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রীও ইংরেজবাজার পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডেরই তৃণমূল কাউন্সিলর। মালদায় বাড়ির উল্টোদিকেই তৃণমূল নেতার গদি ও পাইপের কারখানা। গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ কারখানার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। তখনই আচমকা সেখানে হাজির হয় মুখ ঢাকা চার দুষকৃতী। তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতিকে লক্ষ্য় করে গুলি চালায় তারা।  প্রাণে বাঁচতে দৌড়ে একটি দোকানে ঢুকে পড়েন তৃণমূল নেতা। তাড়া করে সেখানে ঢুকে, দোকানের মধ্যেই তাঁকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা।  সিসি ক্য়ামেরায় ধরা পড়েছে সেই হাড় হিম করা ছবি। প্রত্য়ক্ষদর্শীদের দাবি, তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতিকে লক্ষ্য় করে, চার রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।


আরও পড়ুন:  Bangladeshi Arrest: চোরাপথে ভারতে প্রবেশ করেও হল না শেষরক্ষা, আটক বাংলাদেশের ৬ নাগরিক