মোহন প্রসাদ ও উমেশ তামাঙ্গ, দার্জিলিং: পুজোর আগে পাহাড়ে পর্যটকের সংখ্যা আস্তে আস্তে বাড়ছে।  তবে পাহাড়ের পর্যটন সংস্থাগুলির দাবি, গ্রামের দিকে নিরিবিলি জায়গা খুঁজছেন অনেক পর্যটক। আজ বিশ্ব পর্যটন দিবসে কার্শিয়ঙের চিমনি দেওরালির মতো কম পরিচিত এলাকার গাইড ম্যাপও প্রকাশ করা হয়।

  


পাহাড়ের হাতছানিতে আবার পুজোর আগে বাঙালির পায়ে সর্ষে। করোনার আতঙ্ক সরিয়ে আস্তে আস্তে পর্যটক ফিরতে শুরু করেছে কার্শিয়ং, কালিম্পঙে। পাহাড়ে বিভিন্ন পর্যটন সংস্থাও পর্যটকদের টানতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে।  


সোমবার বিশ্ব পর্যটন দিবসে কার্শিয়ঙের চিমনি দেওরালির মতো কম পরিচিত এলাকার একটি গাইড ম্যাপ প্রকাশ করা হয়। 
কার্শিয়ঙের সবথেকে উঁচু এই এলাকা থেকে আশপাশের অনেক দূর পর্যন্ত পাহাড়ের দৃশ্য ভাল দেখা যায়। এলাকাটি নিরিবিলও। তাই এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।  


কার্শিয়ঙের স্থানীয় বাসিন্দা সুজালা ইয়ানজন বলেন, এখানে পর্যটক আসবে বলে হোম স্টে তৈরি করেছি। এক পর্যটক বললেন, পাহাড়ে ঘুরি। নতুন জায়গা দেখতে চাই।  তাই এখানে এসেছি।


আগের মতো ভিড় এখনও না হলেও কালিম্পঙেও বাড়ছে পর্যটকদের আনাগোনা।  ডেলোয় এক লজ ম্যানেজার জানান, আস্তে আস্তে পর্যটকরা আসছেন। 


পর্যকদের পছন্দের তালিকায় বরাবরই ওপরে থাকে দার্জিলিং। তবে, করোনা আবহ, কিছুটা বদলে দিয়েছে সেই তালিকাকে। মূল দার্জিলিং শহরের ভিড় এড়াতে ভ্রমণ পিপাসুরা পাড়ি দিচ্ছেন নির্জন পাহাড়ি গ্রামে। 


ক্রমশ ডেসটিনেশন হয়ে উঠছে ঘালেটার, ডেয়ারি গাঁও, যোগি ঘাট-সহ শিটং-এর একাধিক অফবিট জায়গা। এই সমস্ত গ্রামগুলি পক্ষীপ্রেমীদের কাছেও হয়ে উঠছে স্বর্গরাজ্য। হিমালয়ের পাখিদের ছবি ক্যামেরাবন্দি করতে ভিড় করছেন ফটোগ্রাফাররা।


পুজো আসতে এখনও বেশ কিছদিন বাকি। কিন্তু এখনই বুকিং ফুল, জানাচ্ছেন হোম-স্টে মালিকরা। সম্প্রতি ডেয়ারি গাঁও-কে ঘোষণা করা হয়েছে প্লাস্টিকমুক্ত জোন হিসেবে। এই পরিস্তিতিতে  প্রকৃতির নির্মল হাতছানিতে পর্যটকদের ভিড় আরও বাড়বে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা। 


তবে পাহাড়ের পর্যটন সংস্থাগুলি বলছে, পর্যটকরা এখন গ্রামের দিকে নিরিবিলি জায়গাই বেশি পছন্দ করছেন। 


আরও পড়ুন: পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে পুরুলিয়ার শিকারা পয়েন্ট, কোভিড-বিধি মেনে তবেই প্রবেশ


আরও পড়ুন: জানালার ওপারেই কাঞ্চনজঙ্ঘা, পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসুন পাহাড়ি গ্রাম ডেয়ারি গাঁও, যোগি ঘাট, শিটং-এ