সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: দুর্গাপুজোর মুখে আবার জনসাধারণের জন্য খুলতে চলেছে পুরুলিয়ার অন্যতম পর্যটন স্থল শিকারা পয়েন্ট। তবে করোনার কারণে প্রবেশে থাকছে একাধিক বিধিনিষেধ। জেলার যে কয়েকটি পর্যটনস্থল রয়েছে সেগুলির মধ্যে পুরুলিয়া শহরের সাহেব ঝিলের শিকারা পয়েন্ট অন্যতম। কাশ্মীরের ডাল লেকের নৌকা বিহারের ছোঁয়া আর আমেজ দুই-ই মিলবে এই শিকারা পয়েন্টে। কাশ্মীরের শিকারার আদলেই তৈরি করা হয়েছে এই শিকারা পয়েন্ট।
করোনা আবহ কাটিয়ে পুজোর মুখে আবার পুরুলিয়ামুখী হচ্ছেন পর্যটকরা। অযোধ্যা পাহাড়, জয়চন্ডী, গড় পঞ্চকোট, দেউলঘাটা-সহ একাধিক পর্যটন স্থলে ফের শুরু হয়েছে পর্যটকদের আনাগোনা। তবে বেশিরভাগ পর্যটক রাত্রিযাপন করে থাকেন পুরুলিয়া শহরেই। তাই শহরের মধ্যে মানুষের মনোরঞ্জনের জন্য শিকারা পয়েন্টকে আরও সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। আর এতেই উৎসাহী সাধারণ মানুষরাও। বলার অপেক্ষা রাখে না, সব মিলিয়ে এভাবেই ছন্দে ফিরছে পর্যটন শিল্প।
সামনেই দুর্গাপুজো। আর পুজো মানেই হইহই, আনন্দ আর প্রকৃতির টানে ঘুরতে বেরিয়ে পড়া। করোনার নিয়মি-বিধি থাকলেও, ভ্রমণ প্রিয় মানুষের পায়ে বেড়ি পরায় কার সাধ্য। তাই, করোনার ডবল ডোজ ভ্যাকসিন বা RT-PCR নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়েই ফের ঘুরতে যেতে তৈরি পর্যটকরা। মরিয়া চার দেওয়ালের বাইরে বেরতে। কেউ পুরুলিয়া তো কেউ দার্জিলিংমুখী হচ্ছেন। তবে শুধু পাহাড় নয়, পছন্দের তালিকায় থাকছে পাহাড়ি গ্রামও।
পুজোর ছুটি মানেই চলো লেটস গো! ব্যাকপ্যাক নিয়ে বেরিয়ে পড়া পাহাড়, চা-বাগান, নদী, ঝরনার টানে। পর্যকদের পছন্দের তালিকায় বরাবরই ওপরে থাকে দার্জিলিং। তবে, করোনা আবহ, কিছুটা বদলে দিয়েছে সেই তালিকাকে। মূল দার্জিলিং শহরের ভিড় এড়াতে ভ্রমণ পিপাসুরা পাড়ি দিচ্ছেন নির্জন পাহাড়ি গ্রামে। ক্রমশ ডেসটিনেশন হয়ে উঠছে ঘালেটার, ডেয়ারি গাঁও, যোগি ঘাট-সহ শিটং-এর একাধিক অফবিট জায়গা।
আরও পড়ুন: পুজোর ছুটিতে অফবিট ডেস্টিনেশন, বেড়িয়ে আসুন তিনচুলে-তাকদা-লামাহাট্টা