অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: এখন সেই আগের মতো চাকচিক্য় নেই। সাধ্য়মতো আয়োজন করে পুজো করেন পরিবারের সদস্যরা। তবে জৌলুস কমলেও পুজোর নিয়মে কোনও খামতি রাখেন না আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) ভুঁইয়া বাড়ির সদস্যরা।


আগের জৌলুস আর নেই। সময়ের সঙ্গে অনেকটাই ফিকে হয়েছে জাঁকজমকও। তবুও ওই কাঠের সিঁড়ি, এই ঠাকুরদালান আজও মনে করায় আলিপুরদুয়ারের পলাশবাড়ির ভুঁইয়া পরিবারের অতীত আভিজাত্য। মুঘল আমলে পূর্ব ভারতের শাসন সামলেছেন বারো ভুঁইয়ারা। সেই বারো ভুঁইয়াদের এক বংশধর ক্ষেত্রমোহন ভুঁইয়ার পারিবারিক পুজো বলেই পরিচিত আলিপুরদুয়ার জেলার পলাশবাড়ির এই দুর্গাপুজো। অবিভক্ত বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার বাসিন্দা ছিলেন ক্ষেত্রমোহন ভুঁইয়া। ১৭৮ বছর আগে স্বপ্নাদেশ পেয়ে সেখানেই দুর্গাপুজোর শুরু। ভুঁইয়া পরিবারের সদস্য বাসুদেব ভুঁইয়া বলেন, "এই পুজোর বিশেষ বৈশিষ্ট রয়েছে। ঠাকুরের মুখের রং লাল, গণেশ, কার্তিকের অবস্থান উল্টো, স্বপ্নে পাওয়া দেবী। বাংলদেশের তৈরি কাঠামোয় পুজো হয়। বংশ পরম্পরায় একই বংশের পুরোহিতরা এই পুজো করছে। সারা বছর এই কাঠামো পুজো হয়।''

পলাশবাড়ির ভুঁইয়া পরিবারের, পুজোয় দেবীর চক্ষুদান হয় ষষ্ঠীর দিন। পুজোর কদিন বাড়ির বউরা খোলা চুলে কোনও অলঙ্কার না পরে মন্দিরে প্রবেশ করেন। পরিবারের সদস্য রিনা ভুঁইয়া বলেন, "প্রতিপদে ঘট স্থাপন হয়। ষষ্ঠী পুজো পর্যন্ত দুবেলা ঘট পুজো। তামা পিতলের অস্ত্র, রূপোর পুজোর বাসন পরিষ্কার করে গুছিয়ে রাখার কাজ চলছে। আমাদের সঙ্গে প্রতিবেশীরাও পুজোর কদিন নিরামিষ খান। এই দেবীর কাছে প্রচুর মানুষ মানত করেন।'' ভুঁইয়া পরিবারের পুরুষদের কাঁধে চড়ে সঞ্জয় নদীতে হয় দেবীর বিসর্জন। সেখানে গঙ্গাপুজোর মাধ্যমে শেষ হয় দুর্গাপুজো।


কলকাতা নামটার সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে হাজারো ইতিহাস। এবার উত্তর কলকাতার তিন পুজো প্য়ান্ডালে তুলে ধরা হয়েছে সেকাল-আবার একালও। কোথাও মণ্ডপে গেলে দেখা যাবে উত্তর কলকাতার চরিত্রগত পরিবর্তন কোথাও আবার শিল্পীর ভাবনায় ফুটে উঠেছে পুরনো উত্তর কলকাতার থিয়েটার পা়ড়ার ঐতিহ্য়। আবার কারও থিম ফুটিয়ে তুলেছে দেশের অন্য়তম আশ্চর্য গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রো। উত্তরের এই তিন পুজো কমিটির থিমে এবার ফুটে উঠেছে কলকাতার সেকাল আর একাল। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: Durga Puja 2024: কমেছে জৌলুস-আড়ম্বর, রীতিতে নেই ছেদ; নিয়ম মেনে পুজোর আয়োজন মহিষাদল রাজবাড়িতে