কলকাতা : হালফিলে পরপর ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে উত্তর ভারত। নেপাল তছনছ হয়েছে ভূকম্পে। এবার ভূমিকম্প অনুভূত হল এই বাংলায়।
বুধবার সকাল ১০টা ৫১ মিনিটে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৩.৬। ন্যাশনাল সিসমোলজি সেন্টার থেকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সকাল ১০টা ৫১ মিনিটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে আপাতত, ভূমিকম্পের জন্য প্রাণহানির কোনও খবর নেই। এর আগে ৮ নভেম্বর পঞ্জাবের রূপনগর এবং প্রতিবেশী দেশ চিনের জিনজিয়াংয়েও ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
চলতি মাসেরই ৩ তারিখ কেঁপে ওঠে দিল্লি-NCR। কাঁপে কলকাতাও। শুক্রবার রাত ১১.৩৯ মিনিট নাগাদ কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল নেপাল, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৬.৪। সঙ্গে সঙ্গে কেঁপে ওঠে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, উত্তরাখণ্ডও। বেশ কিছুক্ষণ ধরে ভূকম্পন অনুভূত হয় কলকাতাতেও। এদিনের ভূমিকম্পে সবথেকে বেশি ক্ষতি হয় নেপালে।
শুধু একবারই নয়, বারবার কেঁপে ওঠে নেপালের মাটি। শুক্রবার রাতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয় ১৫৭। শুধু তাই নয় শতাধিক আফটার শকে বারবার কেঁপে ওঠে নেপাল। শনি ও রবিবার নেপালে ফের কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পে ভেঙেচুরে তছনছ হয়ে যাওয়া এলাকাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। উদ্ধারকাজে নামানো হয় সেনা ও আধা সেনা। শুক্রবার রাতের ভূমিকম্পে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নেপালের পশ্চিম রুকুম ও জাজারকোট জেলা। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহাল।
ভূবিজ্ঞানীরা বলছেন, উত্তর থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত, গুজরাটের বিস্তীর্ণ অংশ, এদেশের অনেকটাই ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার মধ্যে পড়ে। শতাংশের হিসেবে যা অর্ধেকেরও বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূমিকম্পপ্রবণ ও মৃদু ভূমিকম্পপ্রবণ জোনের মধ্যেই পড়ে কলকাতা। হিমালয়ের মুকুট পরে থাকা বাংলায়, ভিনরাজ্যের কম্পনেও এরাজ্যে পায়ের তলার মাটি কাঁপতে পারে। বলছেন ভূবিজ্ঞানীরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়ম মেনে নগরায়ন, মাটির ধারণক্ষমতা-সহ একাধিক বিষয়ের ওপর জোর না দিলে ভবিষ্যতে বিপদ রোখা যাবে না।
আরও পড়ুন :
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে সমন ইডির, দেবেন হাজিরা?