রাণা দাস, পূর্ব বর্ধমান: বিয়ের (Marriage) প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ছাত্রীর ঠাকুমাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ (Murder Case) যুবকের মা ও মাসির বিরুদ্ধে। অভিযোগ গ্রামের যুবক রোহিত মোল্লা গ্রামের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তবে সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি এই ছাত্রী ও তার পরিবার। গতকাল ছেলে পক্ষ মেয়েটিকে দেখতে আসে। সেই খবর পেয়েই অভিযুক্ত যুবকের বাড়ির মহিলা সদস্যরা এসে ছাত্রীর ঠাকুমাকে বাঁশ ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় যুবকের মা ও মাসিকে গ্রেফতার করেছে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ (Ketugram)। ঘটনাটা ঘটেছে, গতকাল বিকেলে কেতুগ্রামে নবস্থা গ্রামে।
বিয়ের ইস্যুতে না হলেও, সম্প্রতি একটা নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে বহরমপুরের রাজধরপাড়ায় । বৃদ্ধ দম্পতি খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হলেন তার দুই নাতি। ধৃতরা হলেন মোজাম্মেল সেখ (২১) ও সোহেল রানা (২০) । তাঁরা মৃত আব্দুল রহিদ সেখের দুই ছেলের ছেলে। পুলিশি জেরায়, তাঁরা তাঁদের অপরাধ স্বীকার করেছেন বলে দাবি পুলিশের। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা দাদুর কাছে থেকে পৈতৃক সম্পত্তি না পাওয়ার জন্যই এই খুন করেছে। ধৃত দুই যুবককে সিজিএম আদালতে তুলে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়।
অগাস্ট মাসে, টাকা নিয়ে বচসা, মদ্যপ অবস্থায় নিজের মাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে ওঠে। তারপর রাতভর মায়ের মৃতদেহ আগলে একই ঘরে রাত্রিবাস খুনে অভিযুক্ত ছেলের।ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ডুয়ার্সের বানারহাট থানার তেলিপাড়া চা বাগান এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার গভীর রাতে মৃত মহিলার নাম বাবলী ওরাও (৬২)। তেলিপাড়া চা বাগানের কুমা লাইনের বাসিন্দা। ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে বানারহাট থানার পুলিশ।তবে এই প্রথমবার নয় ভয়াবহ খুনের আরও একাধিক উদাহরণ আছে।
আরও পড়ুন, পুজোয় প্রথম থিম সং গাইলেন মদন, ছন্দে মেলালেন পা-ও
প্রসঙ্গত, রাজ্যে একের পর এক অপরাধের ঘটনায় গতবছরই তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বাংলার আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সরব হয়েছিল বিরোধী দলের নেতারাও। তারপর রাজ্যের অপরাধ দমনে রাজ্য পুলিশকে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার থেকে, ধর্ষণ, খুনের ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেফতার করলেও, অপরাধের ঘটনা ফের সামনে উঠে আসছে।