কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: এসএফআই-টিএমসিপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত বর্ধমানের বিবেকানন্দ কলেজ গেটের সামনের এলাকা,একে অপরের বিরুদ্ধে বাঁশ, লাঠি ও রড দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ। আহত উভয়পক্ষের প্রায় ১৫ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী। 


এসএফআই-এর অভিযোগ, বাইকে করে বাড়ি যাওয়ার সময় বিবেকানন্দ কলেজের গেটের সামনে এসএফআই পূর্ববর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক অনির্বাণ রায় চৌধুরী সহ কয়েকজনের পথ আটকায় টিএমপির প্রায় ১৫-২০ জনে একটি দল রড,লাঠী ও বাঁশ নিয়ে আক্রমণ চালায়। খবর পেয়ে তাকে বাঁচাতে এসে জখম হন আরও বেশ কয়েকজন সিপিএম কর্মী। মুহূর্তের মধ্য উত্তপ্ত হয়ে উঠে এলাকা।


পাল্টা টিএমসিপি পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সভাপতি স্বরাজ ঘোষের অভিযোগ, সন্ধ্যা নাগাদ কলেজ গেটে কলেজের বেশ কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী চা খাচ্ছিলেন সেই সময় অনির্বাণ রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন বহিরাগত চা-এর দোকানে থাকা ছাত্রীদের কুমন্তব্য করে। প্রতিবাদ করলে চা-এর দোকানে থাকা কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের উপর বাঁশ, রড ও লাঠি নিয়ে চড়াও হয় বহিরাগতরা। জখম হন বেশ কয়েকজন কলেজ ছাত্র। পরিকল্পিত ভাবেই অশান্তি ছড়াতে এই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। 


আরও পড়ুন, ED ডাকবে না, ফ্ল্যাট-প্রতারণা অভিযোগ নিয়ে নুসরতের পাশে অভিনেতা যশ


অন্যদিকে, রাজ্যের শাসক এবং বিরোধী দুই ছাত্র সংগঠন এবিভিপি ও টিএমসিপির  মধ্যে মারধরের ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠল নদিয়ার মাজদিয়া সুধীর রঞ্জন লাহিড়ী কলেজ ক্যাম্পাস। 


কলেজ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার কলেজে প্রথম বর্ষের ভেরিফিকেশন চলছিল সেই সময় যে কোনও কারণবশত দুই ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়। এরপর উভয় পক্ষ জড়িয়ে পড়ে হাতাহাতিতে। যার ফলে উভয় পক্ষেরই প্রায় পাঁচজন জখম হয় বলে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কৃষ্ণগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। 


এই প্রসঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের দাবি, ভেরিফিকেশন চলাকালীন অকারণে দুজন ছাত্রীর ওপর চড়াও হয় এ বিজেপির বহিরাগত সমর্থকেরা। অভিযোগ, সেই সময় উপস্থিত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা এবিভিপির সমর্থকদের বাধা দিতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে বচসার সৃষ্টি হয়। পরে মারামারি বেধে যায়। 


যদিও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তোলা এই অভিযোগ অস্বীকার করে এবিবিপির সদস্যদের দাবি, বিনা কারণে তাদের এক সমর্থককে মারধর করে টিএমসিপি-র সদস্যরা। তারই প্রতিবাদ করতে গেলে বিবাদের সৃষ্টি হয় উভয় পক্ষের মধ্যে। যদিও এই প্রসঙ্গে কলেজের প্রিন্সিপাল জানান, এদিনের ঘটনা কোন রাজনৈতিক বিষয় নয়। অজ্ঞাত কোন কারণবশত নিজেদের মধ্যে ছাত্ররা বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।