পূর্ব মেদিনীপুর: ময়নায় বিজেপি নেতা খুনে গ্রেফতার আরও ২ (BJP Leader Murder Case)। নন্দন মণ্ডল ও সুজয় মণ্ডল নামে আরও ২ জনকে গ্রেফতার (Arrested) করল পুলিশ। বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনের ছ’দিনের মাথায় গ্রেফতার আরও ২। বিজেপি নেতা খুনে গ্রেফতার মোট ৩ জন।


প্রসঙ্গত, আগেই গ্রেফতার হন তৃণমূল নেতা, পঞ্চায়েত সদস্য মিলন ভৌমিক। ১ মে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় খুন হন বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া। অপহরণ করে খুনের অভিযোগ পরিবারের। মূলত অভিযোগ উঠেছিল সন্ধেয় বাড়ি ফেরার পথে স্ত্রীর সামনেই প্রথমে মারধর করা হয়েছিল বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে। এরপর তাঁকে মোটরবাইকে চাপিয়ে জোর করে তুলে নিয়ে যায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।


গভীর রাতে বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে বিজেপি নেতার দেহ মেলে। মাথায় ভারী কিছু দিয়ে মেরে খুন করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করেছিল পুলিশ। রাতে থানার সামনে ময়নার বিধায়ক অশোক দিন্দার নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বিজেপি। বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ ওঠে, খুনের পিছনে হাত রয়েছিল ময়নার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সংগ্রাম দলুইয়ের। প্রাক্তন বিধায়কের পাল্টা অবশ্য দাবি, পারিবারিক বিবাদের জেরে এই খুন।


সম্প্রতি বিজেপি নেতা খুনে, মাসের শুরুতেই ময়নায় বনধের ডাক দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেছিলেন,'পরিবারের সামনেই বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়েছে। খুনিদের কাছে থেকে বিজেপি নেতার নিথর দেহ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। চোরের মতো দেহ নিয়ে মর্গে রেখেছে পুলিশ।' তিনি আরও দাবি করেছেন,'সঞ্জয় তাঁতিকে অপহরণ করা হয়েছিল।'


শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে শুভেন্দু আরও বলেছিলেন,'ময়নায় প্রায় ৩০০ বার আক্রমণ করেছে তৃণমূল। এখনও বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী জেলে আছে।' তবে এখানেই শেষ নয়, তৃণমূল সুপ্রিমোকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দুর সংযোজন, ' পশ্চিমবঙ্গকে চম্বলের রাজত্বে পরিণত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।'


আরও পড়ুন, সবুজ পাতাজাতীয় সবজি Kale-র পুষ্টিগুণ, কী কী সমস্যার সমাধান করে?


আরও পড়ুন, বিছানায় ফোন রেখে ঘুম মৃত্যু ডেকে আনার সমান! আশঙ্কা প্রকাশ গবেষকদের


এদিকে গত ২৯ এপ্রিল বিজেপি নেতা রাজেন্দ্র সাউকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে। আসানসোল পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির আহ্বায়ক ছিলেন রাজেন্দ্র। শনিবার বিকেলে জাতীয় সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি সাদা স্করপিও গাড়ির ভিতর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় রাজেন্দ্রকে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই পুলিশি তদন্ত গাফিলতির অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের দাবি তোলা হয়েছে পরিবারের তরফেও।