East Midnapore News: দোতলা বাড়ি থাকতেও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় টাকা! কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা
PM Awas Yojna: রয়েছে দোতালা বাড়ি, তারপরেও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির টাকা পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, সেই টাকা দিয়ে কিষাণ ক্ষেতমজুর সেলের ব্লক সভাপতি দোকানঘর তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ।
![East Midnapore News: দোতলা বাড়ি থাকতেও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় টাকা! কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা East Midnapore News: Allegation against Trinamool leader that despite having a two-storey house received money Awas Yojana East Midnapore News: দোতলা বাড়ি থাকতেও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় টাকা! কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/09/12/272f88364f7dc2328382119de21a098c169451323553851_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
বিটন চক্রবর্তী, পাঁশকুড়া: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (Prime Minister Awas Yojana) 'সকলের জন্য গৃহ' প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্র। উদ্দেশ্য আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের কাঁচা বাড়ির বদলে পাকাবাড়ি গড়ে তোলা। আর এই প্রকল্প ঘিরে এবার একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ। অভিযোগের তির পাঁশকুড়া তৃণমূল কংগ্রেসের কিষাণ ক্ষেতমজুর সেলের ব্লক সভাপতি হরিশচন্দ্র প্রামাণিকের বিরুদ্ধে।
রয়েছে দোতালা বাড়ি, তারপরেও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির টাকা পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, সেই টাকা দিয়ে কিষাণ ক্ষেতমজুর সেলের ব্লক সভাপতি দোকানঘর তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, ২০২০- ২১ অর্থবর্ষে আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পেয়েছিলেন হরিশ্চন্দ্র। তাঁরা বাবা সতীশচন্দ্র প্রামানিকও ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পেয়েছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী বাড়ি তৈরি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কয়েক ধাপে টাকা দেওয়া হয়। শাটার দেওয়া বাড়ির দেওয়ালে দুটি বোর্ড লাগানো রয়েছে। যেখানে লেখা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পেয়েছেন। লাগোয়া দোতলা বাড়ি রয়েছে। সেখানেই থাকেন তাঁরা।
প্রশ্ন উঠছে, যার বাড়ি রয়েছে তিনি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের (PM Awas Yojana) টাকায় বাড়ি পেলেন কীভাবে? আবার বাড়ির অনুমোদন পেলেন, সেই টাকায় দোকানঘর বানালেন তাও কারোর নজরে এল না! সরকারি নিয়ম অনুযায়ী চারটি ধাপে বাড়ির কাজের অগ্রগতি দেখে তবেই পরবর্তীকালে টাকা বরাদ্দ হয়। ফলে প্রশ্ন উঠছে পাঁশকুড়া ব্লকের বিডিও সহ অন্যান্য অধিকারিকদের এটি নজর এড়াল কী করে? এই মর্মে পাঁশকুড়া ব্লকের বিডিও ও পঞ্চায়েত প্রধানকে ই-মেল মারফত অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয়দের একাংশ।
অভিযোগকারী স্থানীয় বাসিন্দা ভূপাল দাস অভিযোগ করেন -"হরিশচন্দ্র প্রামাণিকের দোতলা বাড়ি রয়েছে। তারপরেও পেলেন কী করে? বাড়ি পেয়েও সেই টাকায় বাড়ি না করে দোকানঘর করলেন কীভাবে? এমনকি, কিছুটা দূরে একটি মাটির বাড়ি রেখেছেন যাতে পরবর্তীকালে ওই বাড়ি দেখিয়ে আবার বাড়ি পেতে পারে। হরিশচন্দ্র প্রামাণিক তৎকালীন পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন সেই সময় প্রভাব খাটিয়ে নিজের ও নিজের বাবার নামে বাড়ি নিয়েছিলেন।’’তবে এই বিষয়ে অভিযুক্ত হরিশচন্দ্র প্রামাণিকের দাবি -"অভিযোগ সত্যি। তবে আমি বাড়ি করেছি তেমনি ব্যবসার জন্য দোকানঘরও করেছি। এই বিষয়ে পাঁশকুড়া ব্লকের বিডিও ধেনধূপ ভুটিয়া জানিয়েছেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির জেলা পরিষদের সদস্য অলোক দোলই বলেন-" ওঁর দোতলা পাকা বাড়ি রয়েছে। তারপরেও প্রভাব খাটিয়ে নিজের ও নিজের বাবার নামে বাড়ি নিয়েছেন। আর সেই টাকায় বাড়ি না করে দোকানঘর তৈরি করেছেন। আসলে এরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় নাম পরিবর্তন করেছিল। এবার সেই আবাস যোজনায় কাটমানি নিয়ে নিজের দলের নেতাদের বাড়ি পাইয়ে দিচ্ছেন।’’ তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা বিজেপির দিকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল। পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুজিত রায় বলেন -"আপনাদের কাছ থেকে অভিযোগ শুনলাম। আমাকেও খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। যদি সত্যিই আবাস যোজনার টাকায় দোকানঘর তৈরি করে থাকেন তাহলে আমরা দলীয়গতভাবে ব্যবস্থা নেব এবং দলকে নিয়ে এটা জানাব। তবে আমাদের বিরুদ্ধে কাটমানির অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।"
আরও পড়ুন: North 24 Parganas Weather: রোদ ঝলমলে আকাশ, আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় উত্তর ২৪ পরগনায়
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)