নন্দীগ্রাম,পূর্ব মেদিনীপুর : নির্বাচনে ফের রক্ত ঝড়ল নন্দীগ্রামে (Nandigram)। ভেটুরিয়া (Veturia) সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে ফের উত্তাল নন্দীগ্রাম । শুভেন্দুর বিধানসভা কেন্দ্রে ঝরল রক্ত। সিভিক ভলান্টিয়ারের সামনেই করা হল বাঁশপেটা। ঘটনায় তৃণমূলের দিকে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কী বললেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) ? 


এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, শুভেন্দু অধিকারী সম্পূর্ণ মিথ্যাচার করছেন। ওই জায়গাটায় একটা সময় কিছু মানুষকে ভুল বুঝিয়ে, কিছু ভোট, বিজেপি পেয়েছিল। কিন্তু মানুষ বুঝতে পারছে না আসল ঘটনাটা কী ক্রমশ বিজেপির পাশ থেকে সরে যাচ্ছে। এবার একটা সমবায় সমিতি, সেখানে তো ভোটের জন্য বিজেপি, সিপিএম, সবাই হাত মিলিয়ে আছে। কাল রাত থেকে ওরা বাইরের থেকে ছেলে প্রবেশ করায়, এবং ওই জায়গায় অশান্ত, মারধর, ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে বলে বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন কুণাল ঘোষ। 


অপরদিকে, এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন,' সমবায় ভোটে আমরা তো সরাসরি যুক্ত হই না। সমবায়ের অংশীদাররা ভোটার। কিন্তু সব জায়গায় , সমবায় ব্যবস্থাতেও পরিবর্তন আনার জন্য মানুষ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। আমরা প্রথমবার সমবায় সমিতিগুলিতে লড়ছি। তাতে অনেকগুলি জায়গা আমরা জিততে পেরেছি, অনেকগুলি জায়গায় ভাল লড়াই দিয়েছি। এবং এখানে সাধারণ ভোটাররা ভোটার হয় না, শেয়ারহোল্ডার ভোট হয়। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস সর্বভুক ! কয়লা খায় ! বালি খায় !... টাকা খায় ! এবার এই সমবায়টাকেও খেতে হবে। খেতে গেলে যা করার, করছে। '


আরও পড়ুন, 'তৃণমূল সর্বভুক, এবার সমবায়টাকেও খেতে হবে', প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর


এদিন সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোটে শুভেন্দুর বিধানসভা কেন্দ্রে ঝরেছে রক্ত। সিভিক ভলান্টিয়ারের সামনেই করা হল বাঁশপেটা। পুলিশের সামনেই চলল বাঁশ হাতে দাপাদাপি। সংঘর্ষে আহতকে পাঁজাকোলা করে তুলে নিয়ে যাওয়া হল এলাকা থেকে।পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছল, পুলিশ, RAF থাকতেও নামাতে হল EFR জওয়ান। এই সমবায় সমিতির নির্বাচনকে ঘিরেই শুক্রবার সকাল থেকে দফায় দফায় উত্তেজনা আর সংঘর্ষ দেখলেন এলাকার বাসিন্দারা।  বহিরাগতদের জড়ো করার অভিযোগ তুলে একে অপরকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি আর তৃণমূল। তা নিয়েই যত অশান্তি। আর তা থেকেই সংঘর্ষ। সমবায় ভোটে বহিরাগত জড়ো করার অভিযোগ তুলে পরস্পরকে নিশানা  তৃণমূল ও বিজেপির।