পূর্ব মেদিনীপুর: বিজেপি নেতা দেবব্রত মাইতি খুনের মামলায় (BJP Leader' s Murder Case) চার্জশিটে ৬ তৃণমূল নেতা। আবু তাহের, শেখ সুফিয়ান-সহ ৬ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে চার্জশিট। এবার (Haldia Court) হলদিয়া আদালতে ৬ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের চার্জশিট। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের মামলায় শেখ সুফিয়ানের জামাই-সহ ১১জন জেলে। আবু তাহের-সহ ৩ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা। শেখ সুফিয়ান-সহ ২ তৃণমূল নেতাকে কোর্টে হাজিরার সমন।


একুশের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের বিপুল জয় আসার পর, রাজ্য জুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ ওঠে। দক্ষিণ ২৪ পরগণা -সহ একাধিক জেলা থেকে বিজেপি নেতারা ঘর ছাড়ে। বিজেপি নেতাদের বাড়ি, পার্টিঅফিস এমনকি পরিবারের উপরও হামলার অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগ তোলে গেরুয়া শিবির। অভিযোগের আঙুল ওঠে স্পষ্ট তৃণমূলের দিকে। এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ তোলে তৃণমূল। রাজ্যে কাঁকুড়গাছির বিজেপি কার্যকর্তা অভিজিৎ সরকার-সহ একের পর এক খুনের অভিযোগ ওঠে। কলকাতা হাইকোর্টে ওঠে ভোট পরবর্তী মামলা। রাজ্যে আসে জাতীয় মানবধিকার কমিশন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। শুরু হয় তদন্ত। 


কলকাতার কাঁকুড়গাছি এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ সরকার ছিলেন বিজেপির কার্যকর্তা। ২০২১ সালের ২ মে বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার দিন অভিজিৎকে খুনের অভিযোগ ওঠে। পরিবার সূত্রে অভিযোগ ওঠে, শ্বাসরোধ করে মাথায় ভারী কিছু আঘাত করে খুন করা হয় তাঁকে। এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল ওঠে। সেসময় বিজেপি অভিযোগ তোলে, অভিজিৎকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। পরবর্তীতে হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় পরবর্তীতে সিবিআই আধিকারিকরা নিহত অভিজিৎ সরকারের বাড়িতে গিয়ে এনিয়ে তদন্তও করেন। অভিযুক্তদের খোঁজ দিতে পারলে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে পুরষ্কৃত করা হবে। পরে এই তদন্তের পরে চার্জশিটও দাখিল হয়। 


আরও পড়ুন, 'দুর্নীতি, ক্ষোভ ঢাকতে আইওয়াশ', বললেন শুভেন্দু অধিকারী


কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের খুনের অভিযোগের তদন্তে, চলতি বছরে মে মাসের মাঝামাঝি পরেশ পালকে নোটিস পাঠানো হয় সিবিআইয়ের তরফে। সেসময়ও সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক। সিবিআই সূত্রে খবর, বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনের সময় কোথায় ছিলেন, কোন সময় খবর পান, যাদের ছবি ভিডিও-তে আছে, তাদের চেনেন কি না, অভিজিতের পরিবারের তোলা উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে তাঁর কী বক্তব্য, এসবই পরেশ পালের কাছে জানতে চাওয়া হয়। তবে খুন হওয়া বিজেপি নেতাদের প্রকৃত হত্যাকারী কারা ? বা কারা তাঁদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে, এনিয়ে সক্রিয় তদন্ত চালিয়েছে সিবিআই।