বিটন চক্রবর্তী, চণ্ডীপুর (পূর্ব মেদিনীপুর): পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে ভেঙে পড়া দেওয়ালের ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে উদ্ধার হল বৃদ্ধার মৃতদেহ। গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ওই বৃদ্ধা নিখোঁজ ছিলেন। মৃতের পরিবারের দাবি, বৃষ্টিতে দেওয়াল ভেঙে চাপা পড়েই মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধার।
১৪ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ বৃদ্ধার মৃত্যু ঘিরে রহস্য। মাটির ঘরের দেওয়ালের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে মিলল পচাগলা মৃতদেহ। এই ঘটনা ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর থানা এলাকার হাঁসচরায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন ৮০ বছরের ছায়া নায়েক। হাঁসচরার বাড়িতে স্বামীর সঙ্গে থাকতেন তিনি। দুই ছেলে কর্মসূত্রে অন্যত্র থাকেন। তিন মেয়েও বিয়ের পর থাকেন অন্য জায়গায়।
আরও পড়ুন: ২৬ দিন পার, এখনও জলের তলায় পূর্ব মেদিনীপুরে পটাশপুরের ৬২টি গ্রাম
পরিবারের তরফে মিসিং ডায়রি করা হয় চণ্ডীপুর থানায়। বৃদ্ধার পাকা বাড়ির পিছনে একটি মাটির বাড়ি আছে। ১৪ সেপ্টেম্বর প্রবল বৃষ্টিতে সেই মাটির ঘরের একদিকের দেওয়াল ধসে পড়ে।
সম্প্রতি সেখান থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীরা খবর দেয় পরিবারকে। সোমবার চণ্ডীপুরের বিডিওর উপস্থিতিতে পুলিশ ওই মাটির বাড়ির ভাঙা দেওয়ালের নীচে থেকে বৃদ্ধার পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করে।
প্রতিবেশীরা অবশ্য ঘটনার পিছনে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন। এমনই এক প্রতিবেশী বললেন, প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি হত। জেঠু চুলের মুঠি ধরে মারত। মৃত্যুর পিছনে বৃদ্ধার স্বামীও থাকতে পারেন।
আরও পড়ুন: পাঁশকুড়ায় কংসাবতী নদী তীরবর্তী এলাকায় ধস, নদীগর্ভে দোকান-ঘর
মৃতার পরিবারের অবশ্য দাবি, দেওয়াল চাপা পড়েই মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধার। মৃতার বড় ছেলে অমৃত নায়েক বলেন, প্রতিবশীরা কে কী বলছেন, জানি না। এটা নিছকই দুর্ঘটনা। দেওয়াল চাপা পড়েই মৃত্যু হয়েছে মায়ের। মৃত্যুর কারণ জানতে, দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।