পূর্ব মেদিনীপুর: এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে (Egra Incident) ইতিমধ্যেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। বিশেষ করে এই ঘটনার পর জেলায় জেলায় বাজি ও বারুদ মশলা উদ্ধারের ঘটনায় প্রশ্ন তুলেই চলেছেন বিরোধী দলের শীর্ষ নের্তৃত্ব। সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইট করে তোপ দেগেছিলেন, 'সারা রাজ্যেই ভাইপো রাজ'। 'বারুদ' বিতর্কে যদিও এহেন বাণ ছুটে এলেও চুপ বসে নেই তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও। পাল্টা নিশানা করেছেন তিনিও। তবে এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডের পর শুধুই থেমে নেই প্রশ্নে, সক্রিয় ভূমিকায় রয়েছে সিআইডি। ইতিমধ্যেই এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত নিহত ভানুর স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এবার এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও ২জনের খোঁজে সিআইডি (CID)।


উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ভানুর স্ত্রী গীতারানি বাগকে। এর আগে কটক থেকে গ্রেফতার ভানুর ছেলে পৃথ্বীজিৎ, ভাইপো ইন্দ্রজিৎ। আর এবার এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও ২জনের খোঁজে সিআইডি।গত মঙ্গলবার, ঘড়ির কাটায় তখন সবে সকাল ১১ টা। ঠিক এমনই সময়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রাম। স্থানীয়রা জানিয়েছিলেন, পুকুরের পাশেই একটি বাড়িতে ছিল ২ টি ঘর। সেখানেই ছিল বেআইনি বাজি কারখানা। এই বাড়ির একটি ঘরেই বিস্ফোরণ হয়।


দেহ ছিটকে গিয়ে পড়ে পুকুরে। ২ টি পুকুরেই দেহের খোঁজে চলে তল্লাশি। বিস্ফোরণে উড়ে যায় গোটা বাড়ি। কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় গোটা এলাকা। যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়, শুধু কাঠামোটুকু ছাড়া সেই বাড়িতে অবশিষ্ট নেই আর কিছুই।  খাদিকুল গ্রামে যেখানে বিস্ফোরণ ঘটে, সেখান থেকে এগরা থানার দূরত্ব কমবেশি ২২কিলোমিটার। এগরা দমকল কেন্দ্রের দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার। ঘটনাস্থল থেকে গোপীনাথপুরে মূল রাস্তার দূরত্ব প্রায় ২ কিলোমিটার। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের। এবার তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করল ইডি। 


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


 আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


প্রসঙ্গত,এগরার খাদিকুল বিস্ফোরণকাণ্ডের ৩ দিনের মাথায় মৃত্য়ু হয় মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের।  গত ১৯ মে কটকের রুদ্র হাসপাতালে গতকাল রাত ২ টো ৪০-এ নাগাদ মৃত্য়ু হয় বেআইনি বাজি কারখানার মালিকের। মঙ্গলবার এই ভানুর বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরকাণ্ডে প্রাণ হারায় ৮ জন। ঝলসে যান ভানুও। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সেই অবস্থাতেই ছেলে আর ভাইপোর সঙ্গে পাশের রাজ্য ওড়িশায় পালান এগরার বাজি-বাদশা! প্রায় ২৭০ কিলোমিটার দূরে, কটকের রুদ্র হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ভানুকে। গতকালই ভানুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সূত্রের খবর, রাত সাড়ে ১২টায় চিকিৎসকদের নিয়ে সিআইডির টিম যায় স্টেটমেন্ট রেকর্ড করার জন্য়। কিন্তু কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না অভিযুক্ত। এর ২ ঘণ্টা পরই মৃত্য়ু হয় ভানুর।