সৌভিক মজুমদার, প্রকাশ সিনহা এবং অর্ণব মুখোপাধ্য়ায়, কলকাতা: 'কালীঘাটের কাকু'কে (Kalighat Kaku) নিয়ে আদালতে (Court) বিস্ফোরক দাবি করল ইডি (ED)। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের (Sujoy Krishna Bhadra) হাওয়ালা যোগের তথ্য আদালতে তুলে ধরল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কলকাতায় রিয়েল এস্টেটের ব্যবসায় সেই টাকা খাটানো হয়েছে বলেও খবর ইডি সূত্রে। সুজয়কৃষ্ণের কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চায় ইডি।


গ্রেফতারির ১৪ দিনের মাথায় কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে নিয়ে আদালতে বিস্ফোরক দাবি করল এনফোর্সমনেন্ট ডিরেক্টরেট। এবার, কালীঘাটের কাকুর হাওয়ালা যোগের দাবি করল তারা।১০০ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে বলে আদালতে তথ্য দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিন আদালতে ইডির তরফে দাবি করা হয়, প্রায় ১০ কোটি টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে পাচার হয়েছে। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নামে কোম্পানি ওয়েলথ উইজার্ড প্রাইভেট লিমিটেডের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানিতে টাকা পৌঁছে যায়।


কলকাতার রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ও বিনিয়োগ করা হয়েছে। আরেকটি কোম্পানি নয়নিকা এন্টারপ্রাইজে নগদ ১ কোটি টাকা জমা পড়েছে। জমি কিনতে সেই টাকা ব্যবহার করা হয়েছে। গ্রেফতারির আগে আমরা সুজয়কৃষ্ণের মোবাইল ফোনে নজরদারি করেছিলাম। ফোনে রাহুল বেরা নামে এক ব্যক্তিকে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন তথ্য ডিলিট করার। আদালতে ইডি আরও দাবি করে, নজরদারি করে যে তথ্য মিলেছিল, সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তা নাকচ করে দেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সেই কারণেই তাঁর কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা প্রয়োজন।


মঙ্গলবার হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বেরনোর সময়, এবিপি আনন্দের প্রশ্নের উত্তরে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত  সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র বলেন, 'সব সত্যি একদিন সামনে আসবে।' আপনার সাহেবের বিষয়ে জানতে চেয়েছে ইডি? প্রশ্নের উত্তরে কালীঘাটের কাকু বলেন, হ্যাঁ। কী প্রশ্ন করল? বলতেই জানান, 'সেটা বলা যাবে না। ' সাহেবের নাম বলানোর জন্য কি চাপ দেওয়া হচ্ছে? এবারেও উত্তর 'না' জানালেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। কিন্তু কালীঘাটের কাকুর সাহেব কে? তিনি আগেই তা খোলসা করেছিলেন।


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ? 


 সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু এর আগে বলেছিলেন, আমি লিপস অ্য়ান্ড বাউন্ডসে কাজ করি। আমার সাহেবকে কোনওদিন ছুঁতে পারবে না। তাই আমায় টানাটানি করছে। আমার সাহেব অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।আদালতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে প্রভাবশালী বলে উল্লেখ করে ইডির আইনজীবী বলেন, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র প্রভাবশালী, জেলে গিয়ে অন্যকিছু করতে পারেন। জেল হেফাজতে কে আসছে, কে যাচ্ছে জানা সম্ভব হবে না। জেলের সিসিটিভি ফুটেজ রেকর্ড করে সংগ্রহ করা হোক।