প্রকাশ সিনহা, রঞ্জিত সাউ, কলকাতা :  প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ( Primary Recruitment Scam )  এবার সিজিও কমপ্লেক্সে ED-র জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ( Abhishek Banerjee ) আপ্ত সহায়ক সুমিত রায়।


ED সূত্রে দাবি, নিউ আলিপুরে লিপস অ্য়ান্ড বাউন্ডসের অফিসে তল্লাশিতে এক হাজার পাতার নথি উদ্ধার হয়। তার প্রেক্ষিতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক সুমিত রায়কে তলব করা হয়েছে। ED-র দাবি, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কাজ করতেন সুমিত রায়। এই সংস্থা কী ধরনের কাজ করত, তাঁর ভূমিকা কী ছিল, তা জানতে চাওয়া হবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়কের কাছে। খবর সূত্রের। 


স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক, সুমিত রায়কে তলব করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, যার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সুমিত। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুকে গ্রেফতারের পর, গত ২১ অগাস্ট, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের আলিপুরের অফিসে টানা ১৮ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়েছিল ইডি।


সূত্রের দাবি, লিপস অ্য়ান্ড বাউন্ডসে তল্লাশিতে ১ হাজার পাতার নথি উদ্ধার করা হয়। তার প্রেক্ষিতেই অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় , তাঁর মা লতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, বাবা অমিত বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, স্ত্রী রুজিরা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় এবং অভিষেকের আপ্ত সহায়ক সুমিত রায়কে তলব করা হয়।  ED-র তলবের নোটিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক। 


অভিষেকের আপ্ত সহায়ক সুমিত রায়ের আগে একই মামলায়, ৬ অক্টোবর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৭ অক্টোবর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করে ইডি। ৯ অক্টোবর লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের CEO অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ১১ অক্টোবর তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছিল ED।
বাকিরা কেউ হাজিরা না দিলেও, ED'র জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন অভিষেক-পত্নী। ইডির সূত্রে দাবি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে তলব করা হলেও, মূলত 'লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস' নিয়েই তাঁকে এদিন জিজ্ঞাসাবাদ ও তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়। প্রায় সাড়ে আট ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ।  


ইডি সূত্রে খবর, এদিন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয়, কোন সাল থেকে কত সাল পর্যন্ত তিনি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টর ছিলেন? কোম্পানির ডিরেক্টর হিসেবে তাঁর কী ভূমিকা ছিল? কী ধরনের পরিষেবা দেয় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস? ডিরেক্টর হিসেবে কোম্পানির আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন কিনা? লিপস অ্যান্ড বাউন্ডের আর কতগুলি সহযোগী সংস্থা আছে? তিনি ওই কোম্পানিতে কোনও বিনিয়োগ করেছিলেন কিনা, করে থাকলে, সেই টাকার উৎস কী? সেদিন, রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে যান রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়।  


আরও পড়ুন, পুজোয় রসনায় ভেজাল নেই তো? পরীক্ষা করবে KMC