কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, অনির্বাণ বিশ্বাস ও বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি: 'আমাদের এক জনও মন্ত্রী-সাংসদ-কর্মীর গায়ে যদি হাত পড়ে..., মনে রাখবেন, বিজেপির নেতা, কেন্দ্রের প্রতিনিধিদেরও বাংলায় থাকতে হয়', সোমবারের ঘটনার (TMC Dharna) পর এদিন স্পষ্ট হুঁশিয়ারির সুর শোনা গেল তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় (TMC MP Abhishek Banerjee)। বললেন, 'আপনারা যে ভাষা বুঝবেন, সেই ভাষাতেই জবাব দেওয়া হবে।'


আক্রমণাত্মক মেজাজে...
মঙ্গলবার 'আক্রমণাত্মক' মেজাজে দেখা গিয়েছে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদকে। স্পষ্ট বলেন, 'আমরা দিল্লিতে নৈরাজ্য তৈরি করতে আসিনি। মন্ত্রীর টেবিলে ৫০ লক্ষ চিঠি পৌঁছে দেব।' তবে কারও গায়ে হাত পড়লে বা ধমকানোর চেষ্টা হলে তিনি যে ছেড়ে কথা বলবেন না, সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন চাঁচাছোলা ভাষায়।  বলেছেন, 'যদি কারও গায়ে হাত পড়ে, ধমকায়-চমকায়, তাহলে আমাকে জানান।' বাংলার বকেয়া কেন্দ্র মেটাচ্ছে না, এই দাবিতেই তৃণমূলের দিল্লি অভিযান। গত কাল, সোমবার সেই ধর্না ঘিরে তুমুল অশান্তির সাক্ষী থেকেছে রাজধানী। তার পর আজ কৃষি ভবন যাওয়ার কথা তৃণমূল প্রতিনিধিদলের। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। তার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঙ্কার, 'কেন্দ্র যদি বাংলার বকেয়া না মেটায়, দিল্লির মাটিতে দাঁড়িয়ে চ্যালেঞ্জ করছি,এখন ৫ হাজার লোক নিয়ে এসেছি, ২ মাসের মধ্যে ১ লক্ষ লোক নিয়ে ফের জমায়েত করব দিল্লিতে।'
কৃষিভবনে বৈঠকের আগে যন্তরমন্তরে ধর্না কর্মসূচি ছিল তৃণমূলের। সেখানে তুমুল বিক্ষুব্ধ অভিষেক বলেন, 'বাংলার মানুষের টাকা আটকে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা দিয়ে বিমান কিনেছেন নরেন্দ্র মোদি। বাংলার ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। ২ বছরে বাংলাকে আবাস ও ১০০ দিনের কাজের এক পয়সাও দেয়নি কেন্দ্র। যদি কেউ বলেন, এই ২ বছরে বাংলাকে কেন্দ্র টাকা দিয়েছে, তা হলে হিসেব দিন। দিতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।' 


পরিস্থিতি...
গত কাল রাজঘাটে ধর্না-আন্দোলনে যা ঘটেছিল, তার পর এদিন যন্তরমন্তরে তৃণমূলের অবস্থান ঘিরে নিরাপত্তার কড়া বেষ্টনী তৈরি করা হয়। কৃষি ভবনে বৈঠকের আগে বকেয়া টাকা মেটানোর দাবিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লিতে যন্তরমন্তরের সামনে মঞ্চ বেঁধে অবস্থান আন্দোলন করে তৃণমূল। সেখানে আঁটোসাঁটো পুলিশি নিরাপত্তায় কার্যত দূর্গে পরিণত হয় গোটা চত্বরকে। যন্তরমন্তর মোড় থেকে তৃণমূলের সভামঞ্চ পর্যন্ত, সাত সাতটি ব্যারিকেড করা হয়। সাংবাদিকদেরও বেশ কিছু জায়গা পর্যন্ত প্রবেশ নিষিদ্ধ বলে জানানো হয়। এখন বৈঠকের অপেক্ষা। এদিনই আবার কৃষিভবনে গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জনকে স্মারকলিপি জমা দিতে যাওয়ার কথা রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর।


আরও পড়ুন:কলকাতায় চালাতেন গাড়ি, জ্বর নিয়ে বাড়ি ফিরে ডেঙ্গিতে মৃত্যু মুর্শিদাবাদের বাসিন্দার