কলকাতা: বালেশ্বর বিপর্যয়ে (Odisha Train Accident) রাজ্যের আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছে রাজ্য় সরকার (West Bengal)। আর তা নিয়েই এবার বিস্ফোরক বিরোধী দলনেতা। তাঁর অভিযোগ অন্য ফান্ডের টাকা ব্যবহার করা হয়েছে। এদিন ট্যুইট করে এমনই অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।


বিস্ফোরক বিরোধী দলনেতা: এদিন ট্যুইটে বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, 'বিল্ডিং অ্যান্ড আদার কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ডের টাকায় সাহায্য়। রাজ্যের লক্ষ লক্ষ শ্রমিক তাঁদের প্রাপ্য টাকা থেকে বঞ্চিত হবেন। দুর্গতদের আর্থিক সাহায্যের জন্য অন্য ফান্ডের টাকা ছিনতাই। বগটুইয়ের ঘটনাতেও একই কাণ্ড করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বগটুইয়ে আর্থিক সাহায্যের জন্য মিড-ডে মিলের ফান্ড থেকে টাকা নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।' 


আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা: বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন শ'য়ে শ'য়ে মানুষ। আহতের সংখ্যাও অনেক। যার মধ্যে রয়েছেন এই রাজ্যের বাসিন্দারা। নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি আহতদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য়। দিনকয়েক আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, "আমরা ঠিক করেছি মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে দেব। আর হোমগার্ডের চাকরি দেব। যাঁরা আহত তাঁদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। তুলনায় বেশি আহতদের ১ লক্ষ টাকা দেব। তুলনায় কম আহতদের ২৫ হাজার দেব। যাঁরা ট্রমায় ভুগছেন তাঁদের প্রথমে এককালীন ১০ হাজার টাকা দেব। তারপর চার মাস পরিবার প্রতি ২ হাজার টাকা পাবে। পাশাপাশি চাল, ডাল, তেল সহ দেওয়া হবে। অনেকে হাত- পা বাদ গিয়েছে এই দুর্ঘটনায়। সংশ্লিষ্টদের জন্য বিশেষ সুবিধা থাকছে। তাঁদের পরিবারের কাউকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে।''


কোথায় যাত্রী সুরক্ষা? এদিকে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায়  (Odisha Train Accident) বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল ভারতীয় রেলের আধুনিকীকরণের দাবি। দুর্ঘটনা এড়াতে ঘটা করে 'কবচ' প্রকল্প চালু করেছিল মোদি সরকার! দেখা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত গোটা দেশের মাত্র দু শতাংশ রেললাইন কবচের আওতায় এসেছে! কিন্তু কোথায় রেলের যাত্রী সুরক্ষা? কেন যাত্রীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি? উঠছে সেই প্রশ্নগুলোও। একটা দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে কারও রাতের ঘুম, কেউ চিরনিদ্রায়। এত মৃত্য়ু এড়াতেই তো ঘটা করে 'কবচ' প্রকল্প চালু করেছিল মোদি সরকার। সেই প্রকল্প ঘটা করে সামনে এনেছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। কিন্তু, কোথায় কী? রেল সূত্রে খবর, ভারতে প্রায় ৬৮ হাজার কিলোমিটার রেলপথের মধ্য়ে এখনও পর্যন্ত মাত্র ১ হাজার ৪৫০ কিলোমিটার ট্র্য়াক কবচের আওতায় এসেছে। মাত্র ৬৫টি ইঞ্জিনে বসানো হয়েছে, অ্য়ান্টি কলিশন ডিভাইস।


আরও পড়ুন: Viral Video: মিটিংয়ে ধমক, হেনস্থা, অভব্য আচরণ! ভিডিও ভাইরাল হতেই সাসপেন্ড