কলকাতা: চাঁদনি চকে (Chandni Chowk Fire) ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর গোডাউনে আগুন। দোতলা থেকে আগুন ছড়াল চারতলায়। ঘটনাস্থলে দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন। ২ ঘণ্টা পার, এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন।
ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর গোডাউনে আগুন: এদিন সন্ধে নাগাদ চাঁদনি চকের এই গোডাউনে আগুন লাগে। সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ ধোঁয়া দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তারপর তাঁরাই খবর দেন দমকলে। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছন। প্রাথমিকভাবে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে আগুন। এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। কিন্তু হঠাৎই বদলে যায় ছবিটা। দোতলাতে আগুন লাগলেও সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে চারতলা পর্যন্ত। প্রথম দুই তলে কম্পিউটারের পার্টস সহ ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী মজুত রয়েছে। তা থেকে বিস্ফোরণ হয় এবং আগুন দ্রুত ছড়াতে শুরু করে।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে দুর্গাপুর সিটি সেন্টারে আগুন। (Durgapur Fire) আগুন আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের দফতরে। অল্প সময়ের মধ্যেই বিধ্বংসী আকার নেয় আগুন। ঘটনাস্থলে প্রথমে পৌঁছয় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন রয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল পর্যন্তও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই উন্নয়ন পর্ষদের গুরুত্বপূর্ণ নথি। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টার টেষ্টায় দমকল বাহিনী আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। এলাকায় উত্তেজনা।
আসানসোল (Asansol) দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের দফতরে জমি সংক্রান্ত প্রচুর নথিপত্র মজুত থাকার কথা। বাড়ি তৈরি, বা বাণিজ্যিক নির্মাণ সংক্রান্ত বহু নথিপত্রও জমা থাকে সেখানে। বিধ্বংসী আগুনে তার কিছুই আর অবশিষ্ট নেই বলে জানা যাচ্ছে। ফলে আগামী দিনে সরকারি কাজকর্মে সমস্যা হবে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। ঘটনাস্থল থেকে যে ছবি এবং ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা গিয়েছে দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের দফতরে। বাইরে থেকেই জানলা দিয়ে জল ছুড়তে দেখা গিয়েছে দমকল বিভাগকে। দমকলকর্মীরা গাড়ির উপরে উঠে, হোজ পাইপ দিয়ে জল ছোড়েন ভিতরে। প্রথম বেশ কয়েক ঘণ্টা দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের দফতরের ভিতরে ঢোকা সম্ভব হয়নি দমকলকর্মীদের পক্ষে। জানলা দিয়ে প্রথমে জল ছোড়া হয় ভিতরে। তার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে দরজার দিকে এগোন দমকলকর্মীরা।
আরও পড়ুন: Dengue: উত্তরের ৮ জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্ত ৩ হাজার পার, শীর্ষে মালদা