কলকাতা: ডিএ আন্দোলনকারীদের নিশানা তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষের। বিজেপির সাহায্যে এই আন্দোলন বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি।
কী বলেছেন কুণাল:
কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, 'বিজেপির পৃষ্ঠপোষকতায় থেকে দিল্লির দরবারে নাটক করতে যাচ্ছেন। ডিএ আন্দোলনকারীরা কেন্দ্রের বকেয়া নিয়ে নীরব। আন্দোলনকারীরা কেন বাংলার বকেয়া নিয়ে সরব হচ্ছেন না?'
বকেয়া DA-র দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের অবস্থান-বিক্ষোভের আজ ৭৩ দিন। দিল্লিমুখী আন্দোলনকারীদের দ্বিতীয় দল। আজ বিকেলে রাজধানী এক্সপ্রেস ও দুরন্ত এক্সপ্রেসে চড়ে আরও ২৫০ জন আন্দোলনকারী দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন। পাশাপাশি, শহিদ মিনারেও চলবে ধর্না কর্মসূচি। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আমরা প্রথম থেকেই কথা বলতে আগ্রহী। হাইকোর্টের মুখ্যসচিব বা অর্থসচিবকে বৈঠকে বসতে বললেও, সরকারের তরফে এখনও কোনও বার্তা মেলেনি বলে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ জানিয়েছে।
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'বকেয়া কোনটা, দাবি কোনটা সেসব বোঝেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। একদিকের টাকা অন্য জায়গায় খরচ করেছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্র বারবার বলছে হিসাব দাও টাকা নাও, রাজ্য বলছে হিসাব দেবে না। রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা মনে করেছেন যে তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন। তাই তাঁরা আন্দোলন করছেন। কার কাছে তাঁরা দুঃখের কথা জানাবেন সেটা তাঁদের ব্যাপার। এই সরকার চলে গেলে নতুন সরকার এলে সারা ভারতে অন্য রাজ্যের কর্মচারীরা যে ডিএ পাচ্ছেন, সেই হারে তাঁরাও পাবেন।'
সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, 'ডিএ চেয়ে কর্মীরা বহুদিন ধরে লড়াই করেছেন। তাঁরা আদালতে গিয়েছেন। আদালত যা বলেছে তার বিরুদ্ধে সরকার কর্মীদের দাবিকে মান্যতা না দিয়ে আইনি লড়াই করেছেন। তখনও তো কুণাল ঘোষেরা বলেননি যে সেই দাবি মেনে নেওয়া হবে। আর ডিএ-র দাবির সঙ্গে বকেয়ার দাবি তো এক নয়। কত পরিমাণ টাকা বকেয়া তা বলছে না তো। আমরা বলেছিলাম তো কী কী বকেয়া আছে আমাদের বলুন, আমরা আইনি লড়াই করে আদায় করব। আদায় ধর্না করে হয় না। তার জন্য আলাদা আইনি লড়াই প্রয়োজন।'
কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি বলেন, 'নাটকের সব থেকে বড় উদাহরণ কুণাল ঘোষ। এই আন্দোলনের প্রতি কখনও কোনওরকম সহানুভূতি রাজ্য দেখিয়েছেন? কখনও কুকুরের সঙ্গে তুলনা করছেন. কখনও চোর-ডাকাত বলছেন। কুণাল ঘোষ যে নাটকীয়তায় অভ্যস্ত, এই আন্দোলনকারীরা সেই নাটকীয়তায় অভ্যস্ত নন।'