মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: বিষধর সাপের (snake) ভয় দেখিয়ে অবাধে চলছিল প্রতারণা, হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছিল হাজার হাজার টাকা (Fraud)। চক্রের ৪ জনকে পাকড়াও করল পুলিশ। ঘটনা দুর্গাপুরের (Durgapur)। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রামের মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগকে হাতিয়ার করে শহরের বেশ কিছু জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল ৫ সাপুড়ের একটি দল।


আগে থেকেই খোঁজ খবর নিয়ে এরা ঘুরে ঘুরে পৌঁছত গৃহস্থ্যের বাড়িতে। নিশানায় থাকতেন মহিলারা। কখনও স্বামী-সন্তানের ক্ষতির ভয়। কখনও গৃহস্থের অমঙ্গলের কথা বলে শিকড় বাকরের টোটকা দিত এরা, বিনিময়ে নিতেন টাকা। শেষ নয় এখানেই এরপর বিষধর সাপকে ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে ফের মোটা টাকা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে এই সাপুড়ের দলের বিরুদ্ধে। 


মঙ্গলবার সকালে দুর্গাপুর থানার (Durgapur Police Station) অন্তর্গত ধোবিঘাট এলাকায় সন্দেহজনকভাবে পাঁচ সাপুড়েকে ঘোরাঘুরি করতে দেখতে পান স্থানীয়রা। এরপর তাড়া করেন স্থানীয়রা। চারজন পালিয়ে গেলেও, ধরা পড়ে যায় পিয়ারুল মাল নামে এক ব্য়ক্তি। জানা গিয়েছে পূর্ব-বর্ধমানের আউশগ্রামের (Ayushgram) সোয়াইগ্রামের বাসিন্দা পিয়ারুল। তাঁকেই হাতে নাতে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। চলে গণপ্রহার।


তড়িঘড়ি পুলিশ পৌঁছে পিয়ারুলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ধৃত পিয়ারুলের কাছ থেকে ছ-টি ভিন্ন প্রজাতির বিষধর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত পিয়ারুল মালকে দুর্গাপুর থানার পুলিশ বন দফতরের হাতে তুলে দেয়। গ্রেফতার আরও ৩। যদিও অভিযুক্ত পিয়ারুল মাল যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে। 


অন্যদিকে সর্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে এই সাপুড়েরা সর্বশান্ত করে দেওয়ার ফাঁদ তৈরি করে। গৃহস্থের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে টাকা হাতিয়ে নেওয়াই এই চক্রের মূল উদ্দেশ্য। শঙ্কর দেবনাথ নামে দুর্গাপুর বন দফতরের এক আধিকারিক স্বীকার করেছেন এই সাপুড়ের দলের প্রতারণার কথা। আইনমাফিক এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। 


আরও পড়ুন: ব্যাঙ্কের নাম করে প্রতারণা, এক ফোনেই গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব ৪৫ লক্ষ টাকা