কলকাতা: কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'লক্ষ্মীছেলে'-র (Lokkhi Chele) মাধ্যমে আমি আর চূর্ণী (গঙ্গোপাধ্যায়) উজানের (গঙ্গোপাধ্যায়) হাতে বন্ধু হওয়ার ছাড়পত্রটা তুলে দিলাম'। বাবার পরিচালনায় এই প্রথম অভিনয় করলেন ছেলে। সেই অনুভূতি আগেই এবিপি লাইভের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন কৌশিক। আর তৃতীয় সপ্তাহ পেরিয়েও যখন নন্দনে এসে দরাজ গলায় উজান গাইছেন, 'কালো জলে কুচলা তলে...', তখন তাঁর মনেও ছোঁয়া লাগে সেই মেঠো সুরের। মনে পড়ে যায় শ্যুটিংয়ের কত এলোমেলো স্মৃতি। 


অতিমারিতে মা-বাবার সঙ্গে অনেকটা সময় কাটানোর সময় পেয়েছিলেন উজান। সেইসময় হামেশাই বাবার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হত বিভিন্ন চিত্রনাট্য নিয়ে। অভিনয়ের পাশাপাশি চিত্রনাট্যও লেখেন তিনি। সেই চিত্রনাট্য পরিচালনা করার ইচ্ছা রয়েছে? উজান বলছেন, 'আমি এখন অভিনয়টাই মন দিয়ে করতে চাই। পরিচালনার ইচ্ছা অবশ্যই রয়েছে তবে তার জন্য আমার কোনও তাড়া নেই। গল্প বলার দায়িত্ব অনেক। যেমন দর্শকের দায়িত্ব, তেমনই দায়িত্ব প্রযোজকের কাছেও।'


কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় এবিপি লাইভকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ছেলে যদি তাঁকে সুযোগ দেন, তবেই তিনি উজানের লেখা চিত্রনাট্যে কাজ করবেন। বাবাকে সুযোগ দেবেন? লাজুক হেসে উজানের উত্তর, 'এটা কিন্তু বাবার বিনয়. আমার চিত্রনাট্য কে পরিচালনা করবেন সেটা নির্ধারণ করার জায়গায় আমি এখনও পৌঁছয়নি। যদি কোনও পরিচালক বা প্রযোজক আমার চিত্রনাট্যে কাজ করতে চান আমি সানন্দে রাজি হব।'


আরও পড়ুন: Ujaan Ganguly Exclusive: 'ঠাকুর দেখে বাড়ি ফেরার সময় মায়ের প্রিয় চুরমুর নিয়ে আসি'


ছবির বেশ কিছু দৃশ্যে উজানের অভিনয় দেখে নাকি বেশ বিব্রত হয়েছিলেন কৌশিক! উজান বলছেন, 'বাবার মনের ভিতর কী চলছিল বলতে পারব না। তবে বেশ কয়েকটা শট শেষ করে বাবার দিকে তাকিয়েছি। দেখেছি বাবার চোখ ছলছল করছে। কখনও কখনও মায়েরও। তখন বুঝতে পারতাম, শটটা বোধহয় উৎরে গিয়েছি।'


উজান বলে চললেন,  'আরও মনে আছে একটা অংশের শ্যুটিং করতে গিয়ে সামান্য আহত হয়েছিলাম আমি। কালশিটে পড়ে, রক্ত বেরিয়ে গিয়েছিল বেশ কয়েকটা জায়গা থেকে। আমার সঙ্গে ওই শটে ইন্দ্রাশীষদা (রায়) ছিলেন। শট শেষে পরে উনি আমায় জড়িয়ে ধরলেন, ক্ষমাও চাইলেন। ওঁর খুব খারাপ লেগেছিল আমায় এভাবে দেখে।'


মা চূর্ণিও তো ছবির অন্যতম অংশ। ছেলের অভিনয় দেখে কী বলেছিলেন তিনি? উজান হেসে বললেন, 'মনে আছে.. শেষ দৃশ্যে আমায় দেখে কেঁদে ফেলেছিলেন মা..'